চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা রাখবে, এমনটাই আশা করে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। বাজারে নিত্যপ্রয়োাজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। অসহায় এবং দিনমজুর মানুষেরা অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে। মুনাফালোভী ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারি উদাসীনতার কারণে তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের মন্ত্রী এমপিরা তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে বাজারকে অস্থিতিশীল করার পিছনে ইন্ধন দিচ্ছে। কারণ, সিন্ডিকেটবাজরা সবাই সরকারের আশ্রিত। সরকার চোরকে বলছে চুরি করতে, আবার গৃহস্থকে বলছে চোর ধরতে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ হালিশহর সিমেন্স হোস্টেলস্থ বায়তুর রায়হানে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইপিজেড থানা বিএনপির উদ্যোগে ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সন্তান ইস্রাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রোজা শুরুর আগে থেকেই বাজার অস্থিতিশীল করেছে মুনাফা শিকারি চক্রগুলো। তারা নানা ভিত্তিহীন অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে। বাজারে তাদের অপতৎপরতা চলছে নানা কৌশলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্বাস আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মো. হোসেন টিটু, থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মিজান হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহজাহান, সদস্য ফখরুল ইসলাম, থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মো. দিদার, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শাহেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হৃদয়, অঙ্গ সংগঠনের মো. হাসান, আব্বাস উদ্দিন, মো. মুজিব, এবাদুল হক, মো. শাহজাহান, সাজ্জাদ হোসেন, রনি, জনি, মেহেদি, মো. আলমগীর, আসাদ, মানিক, মো. আরিফ প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।