চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণ অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আছে। আজকের এই সরকার পতন আন্দোলন বিএনপি বা বিরোধী দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই সরকার পতন আন্দোলন জনগণের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলছে। কারণ তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। ক্ষমতায় আসার পর তারা জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগের অনেক পরিবারও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে এখন তাদের সরকারের পক্ষে নেই।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবন মাঠে শনিবারের কালো পতাকা গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারও মানবাধিকার নেই। তারা এখন পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতকে দেখাতে দেশে জঙ্গি নাটক শুরু করছে। যারা ধর্ম পালন করেন তাদের জঙ্গি বানিয়ে এ সরকার ফায়দা হাসিল করতে চায়। এর থেকে মুক্তি পেতে কঠিন আন্দোলন দরকার। তিনি শনিবারের কালো পতাকা গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে সবাইকে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনা জোর করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে আছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বলেন খুনি। শহীদ জিয়া এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সন্তান তারেক রহমান আজ গোটা জাতিকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, অ্যাডভোকেট মুফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












