সরকার পতনে কয়েকদিনের মধ্যে ৩৬টি রাজনৈতিক দল যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। এসময় তিনি বলেন, ঘোষণা আসার পর ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করা হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
আগামী ১৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় ‘দেশ বাঁচাতে শ্রমজীবী মানুষের জাগরণ’ শীর্ষক চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশ সফল করতে গতকাল শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ–শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, চলমান রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিক, মজুর, কৃষক, অসহায় শ্রমজীবী মানুষ অংশগ্রহণ করেনি ততক্ষণ পর্যন্ত অতীতে কোনো আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেনি। শ্রমিক–জনতা রাস্তায় নামলেই শাসকেরা মাথা নত করে। তাই ১৬ জুলাই দেশকে জাগিয়ে দিতে শ্রমিক মহাসবেশ সফল করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার কূট কলা–কৌশলে জনগণকে জর্জরিত করে ফেলেছে। তাই বীর চট্টলার মানুষ দেশকে জাগিয়ে দিতে মহাসমাবেশ সফল করবে।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নেই, বিদেশেও নেই। তিনি বলেন, আমরা সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে আছি। আমাদের বিজয় খুব কাছাকাছি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে পুরো জাতিকে খণ্ড–বিখণ্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তারা দেশে–বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহা–দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী মহানগর বিএনপিই আগামী মেহনতী জনতার মহাসমাবেশের মাঠ পূরণ করে দেবে। সরকারের শত দমন নিপীড়নকে আমরা ভয় পাই না। নেতাকর্মীদেরকে সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের বিজয়ের পদযাত্রা শুরু হয়েছে।
আবু সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতার মোহ বাংলাদেশের চেয়েও প্রিয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, শ ম জামাল উদ্দিন, ইদ্রিছ মিয়া, তাহের আহমেদ, আবদুল মোতালেব চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, ডা. মহসিন খান তরুণ, রফিকুল ইসলাম, কুতুব উদ্দিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, কবিরুল ইসলাম, এম আর মনজুর, গাজী আইয়ুব আলী, মো. হারুন, শফিকুল ইসলাম মজুমদার, রফিকুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিকী ও রফিকুল ইসলাম।












