সরকার পতনে জনগণের স্বার্থ কোথায়?

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, কোন ব্যক্তি-দলীয় স্বার্থরক্ষার জন্য পুরো জাতিকে জিম্মি করে আন্দোলন সংগ্রামের টেকসই ভিত রচনা মোটেও সম্ভব নয়। সাধারণত জনগণের স্বার্থ-অধিকার লঙ্ঘিত হলে বা চরম দুর্ভোগের রূপ পরিগ্রহে আপামর জনগণের ক্ষোভ-হতাশা-কাতরতা-অসহায়ত্ব থেকে উদ্ভূত গণরোষের প্রতিফলনে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের বলিষ্ঠ কন্ঠ-গণজাগরণ প্রতিভাত হয়। ক্রমান্বয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিকারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন কার্যকরণে সরকার ব্যর্থ হলে গণআন্দোলন পর্যায়ক্রমে সরকার পতনের রাজনৈতিক কর্মসূচী বেগবান হয়। গুটিকয়েক ব্যক্তি-দলের অসন্তোষ থেকে আরাজকতা-অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত অবস্থায় নিপতিত করার তেমন কোন চক্রান্তমূলক কার্যকলাপ সামগ্রিক অর্থে গুরুত্ব বহন করেনা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞের আড়ালে জনগণের হৃদয়কে অপকৌশলে আতঙ্কিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এমন কিছু কঠিন পরিবেশ তৈরি হয়নি যাতে জনস্বার্থ চরম বিঘ্নিত এবং সরকার উৎখাতের ক্ষেত্র নির্মিত হয়েছে। সমাজ সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনায় বিপ্লব-প্রতিবিপ্লব-গণধিক্কারে সরকারের পদত্যাগ বা পতনের বিপুল বাস্তব দৃষ্টান্ত সম্পর্কে সচেতন মহল সম্যক অবগত আছেন। তুলনামূলক বিশ্লেষণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিত-জনসন্তুষ্টি বিবেচনায় সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন ব্যতীত সরকার পতনে কোন দাবিই যুক্তিযুক্ত নয়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনগণ বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছে বিগত কয়েক মাসব্যাপী তথাকথিত আন্দোলন সংগ্রামের নামে অযৌক্তিক অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শুধুমাত্র বিরোধীতার মোড়কে বিরোধীতা করার জন্য নানা ধরনের অনভিপ্রেত অবাঞ্চিত বক্তব্য-অযাচিত কর্মকাণ্ড সহ্য করতে হচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিকতায় বিশ্বপরিমন্ডলে যখন অদম্য অগ্রগতিতে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত, এগিয়ে নেওয়ার এই পথকে রুদ্ধ করার চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের কূটকৌশল জনগণকে কতটুকু বিচলিত করছে তার বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ জরুরি। অযৌক্তিক-কাল্পনিক-বাস্তববিবর্জিত অপরাজনীতির দূরভিসন্ধিমূলক কার্যকলাপ অবশ্যই সরকারের বিরুদ্ধে নয়; বৃহত্তর জনগণের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। প্রতিষ্ঠিত ধারণা; জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে জীবন-জীবিকার সাবলীল প্রবাহে অতিরঞ্জিত মিথাচারের দুর্বল প্রাচীর নির্মাণ অচিরেই বিধ্বস্ত হতে বাধ্য। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিপরীতে কদর্য-কুৎসিত অন্ধকারের সকল শক্তির যোগসাজস ইতিমধ্যে আপামর জনগণ উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।

স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে যথাসময়ে পবিত্র সংবিধান সম্মত বিধান অনুসারে নির্বাচনে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা-দলীয় প্রার্থীদের জয়যুক্ত করে সরকার গঠনের প্রচেষ্টাই কাঙ্ক্ষিত পরিক্রমা। প্রায় দেড়বছর আগে থেকেই রাজনীতির পরিবেশকে অশান্ত করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি জনগণের অপরিসীম দুর্ভোগকে অধিকতর অসহনীয় করে তুলছে। জনশ্রুতিমতে, ঘরের শত্রু বিভীষণ-শস্যের মধ্যে ভুত বা নানা অপকৌশল অবলম্বনে প্রতারণা-মিথ্যাচার-ছলচাতুরী-অভিনয়শৈলীতে পারঙ্গম পরাজিত-সেনা-স্বৈর শাসকদের দোসরা বিভিন্ন কায়দায় দল ও সরকারে অনুপ্রবেশ করে উচ্চশিক্ষা থেকে সর্বত্র পদ-পদায়ন-পদক দখলে নিয়ে বেপরোয়া মনোভাব প্রদর্শন করছে। কথিত এসব নেতৃত্বের আড়ালে কতিপয় এমপি-মন্ত্রী-উপদেষ্টা-আমলা ও ছদ্মবেশী মহান মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক অনুসারী সেজে দেশকে প্রচন্ড পর্যুদস্ত করতে তৎপর। উল্লেখ্য ব্যক্তিবর্গ বংশপরম্পরায় অর্থপাচার-ঋণখেলাপ-ভূমিদস্যুতা-মাদক ও মদ ব্যবসা-পরাজীবী-বুদ্ধিজীবী-অসাম্প্রদায়িকতার আচ্ছাদনে অন্তরে নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িকতা লালনকারীদের সচেতন মহল চিহ্নিত করতে পেরেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এদের পদচ্যুতি-বিতাড়ন কার্যকর করার ব্যর্থতায় দেশকে অপরিমেয় মূল্য দিতে হতে পারে বলে সুধীজনের বদ্ধমূল ধারণা। কথায় কথায় এদের খুঁটির জোর প্রচন্ড শক্ত বলে প্রচারণার প্রবণতাকারীদের বিচার বিভাগীয় চৌকস তদন্তের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে বিষদাঁত ভেঙ্গে দেওয়া না হলে, সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের বেড়াজাল অধিকতর বিস্তারিত হওয়ার সমূহসম্ভাবনা রয়েছে। সহজ কথায় যে বিষয়টি বলা যায় তা হলো বর্তমান প্রেক্ষিতে সরকার পতনের চলমান উদ্যোগ-সন্ত্রাসে জনগণের কিঞ্চিত স্বার্থও যুক্ত নয়।
মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন-অগ্রগতির আকাশচুম্বী অর্জন বিশ্বস্বীকৃত। দেশীয়-আন্তর্জাতিক সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ও অন্ধকারের অশুভ শক্তির অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে অদম্য প্রজ্ঞা-মেধা-দেশপ্রেম ও সাহসিকতায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ব্রতে অপার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছেন। দারিদ্র বিমোচন-তরুণদের কর্মসংস্থান-যোগাযোগ-শিল্পায়ন-নগরায়ণ-ভৌত অবকাঠামো-অর্থনৈতিক অঞ্চল-সামাজিক নিরাপত্তা বিধানসহ সাফল্যগাঁথায় যুগান্তকারী মাইলফলক হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য বিস্ময়কর উপমা সমুদ্র বিজয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, চলমান মেট্টোরেল প্রকল্প, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের কর্তফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, সারাদেশের একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন, বিদ্যমান বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প এবং করোনা জয়ে বিশ্বে পঞ্চম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে অধিষ্ঠ হওয়া ইত্যাদি।
দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে কৃষির ১১ খাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বিশিষ্টজনরা এটিকে দেশের জন্য বিশাল প্রাপ্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কৃষি ও খ্যাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা, চালসহ কৃষিপণ্য, প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ একের পর এক স্বীকৃতি পাচ্ছে।
গণমানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে দেশজুড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার ফ্রি-চিকিৎসাসেবা এবং ওষধ সরবরাহসহ শিশু ও মায়েদের জন্য বিশেষ সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে হাসপাতাল এবং এসব হাসপাতালের বেড সংখ্যা এলাকার জনসংখ্যা অনুপাতে বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড়শতের অধিক উপজেলা হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৩১ থেকে ৫০ এবং ৩৪টি জেলা হাসপাতালের বেড সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০-৩০০তে উন্নীত করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোর আধুনিক সরঞ্জামাদির সরবরাহ এবং এগুলো ব্যবহারে দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের-বিদেশের চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা-পরামর্শ নেওয়ার সুবিধার্থে প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে ওয়েব-ক্যামেরা সংযোজিত হয়েছে। বৃহৎ উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে পাল্লাদিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সমাজে পিছিয়ে পড়া দুস্থ-অসহায়-ছিন্নমূল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে নানামুখী কর্মযজ্ঞ। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার প্রেক্ষিতে আশ্রয়ণ-১ প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহায়নের সঙ্গে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, শিক্ষা, পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে সরকার আরো অধিকতর সুন্দর ডিজাইনের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। যাদের ভূমি আছে কিন্তু ঘর নাই, তাদের জন্য সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ন্যূনতম সুদহারে ঋণ নিয়ে গৃহ নির্মাণ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়াও যে কোনো পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা হোস্টেল। বৃদ্ধ-বিধবা-প্রতিবন্ধী-অতিদরিদ্র-অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, বেদে, ভাসমান মানুষসহ সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর কমপক্ষে সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে পত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই সামাজিক নিরাপত্তা সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত শিক্ষাক্ষেত্রে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ যথা-উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি প্রাথমিক-উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজসহ শিক্ষকের চাকুরী জাতীয়করণ, নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ, বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধকল্পে স্কুল ফিডিং প্রকল্প গ্রহণ, পর্যায়ক্রমে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ ইত্যাদি।
বিদেশী অনুচরবৃত্তির মাধ্যমে অর্থোপার্জন ও হীন জটিলতায় জনস্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে এরা ব্যক্তি স্বার্থকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আসছে। অতিদ্রুত মুখোশধারী এদের অপসারণ-ক্ষমতাচ্যুতি বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপন সামগ্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে পরিকুদ্ধ না করে ধ্বংসের তলানীতে পৌঁছে দেবে। অতি সঙ্গোপণে এদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন-সহযোগিতায় নিকৃষ্ট অপতৎপরতা অপার সম্ভাবনার অবারিত উন্নয়ন প্রবাহে কঠিন অন্তরায় ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নিদারুণ বিস্তৃত এবং তা পর্যায়ক্রমে কঠিনতর রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে। এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য মহান মুক্তিযুদ্ধে গুটিকয়েক রাজাকার-আলবদর-আলশামস নামধারী পাকিস্তানি হায়েনাদের সহযোগী ব্যতীত সমগ্র বাঙালি জাতিই দেশের অভ্যন্তরে-বাইরে নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র কর্মযজ্ঞে লিপ্ত ছিল। এটিও প্রচলিত ধারণা যে, যারা ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অংশগ্রহণ না করে আত্মীয়-পরিজনের সাথে বিলাসিজীবন যাপন করেছে। এদের অনেকেই বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা-পত্রপত্রিকা-বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিল এবং নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রাপ্তিতেও কারসাজি করেছে বলে প্রবল গুঞ্জন রয়েছে। বর্তমান সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেও সরকারের বিরুদ্ধে কূট প্রচারণা-চক্রান্তে এদের ভূমিকাও প্রবল এবং কিছুতেই এরা পিছপা হচ্ছে না বলেই প্রমাণিত। এদের এসব অপকর্ম অচিরেই সংহার করা না হলে জনস্বার্থ বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম উপর্যুপরি সচলতা পাবে। যা কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধবাঙালি কমিউনিটি ও ইউএসএ গাউসিয়া কমিটির সংবর্ধনা সভা