বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই অনির্বাচিত দখলদার সরকারের পতনের আন্দোলনে দেশবাসী আজ রাস্তায় নেমেছে। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলনকে সফল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আজ আমাদের আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকে সফলভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা কীভাবে কাজ করব এবং কী কর্মসূচি হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি, এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনে নিয়ে এই আন্দোলন সফল করব। সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে গেছে। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা আজকে একটিই। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ভোটাধিকার। সবকিছুর মূল একটি জায়গায়, তা হলো জনগণকে বাইরে রেখে জোর করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল।
খসরু বলেন, যারা জোর করে বসে আছে, তাদের অপসারণই হলো এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ। যারা জোর করে বসে আছে তাদের পতন ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে পতনে বাধ্য করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে, নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার গঠন হবে, যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। মানুষ বাংলাদেশের মালিকানা ফিরে পাবে।
তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের লোকেরাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে সেখান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।