সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে তালবাহানা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার, দলের এমপি-মন্ত্রী ও বড়-বড় নেতারা এদেশের টাকা সব বিদেশে পাচার করছে। এজন্য দিন দিন দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। সে কারণে তারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা না বাড়লেও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনদুর্ভোগ এখন চরমে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের সাধারণ মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে মানুষের উপার্জন কাজে আসছে না। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মরিচ, পেঁয়াজ সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করতে সরকার নিজেদের সিন্ডিকেট দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। এতে করে দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে সবকিছুর এমন আকাশচুম্বি দামে নাজেহাল দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। তাই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলার যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন উত্তর জেলা বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোসতাক আহমেদ খান।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জনগণের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন ছাড়া কোন গতি নেই।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, ছালাহ উদ্দিন, নুরুল আমিন, এনামুল হক এনাম, নূর মোহাম্মদ, কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার, অ্যাড. আবু তাহের, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, মোশারফ হোসেন দিপ্তি, মোহাম্মদ সাহেদ, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল মোস্তাফা আমিন, মনজুরুল ইসলাম, সেলিম চেয়ারম্যান, আবদুল গাফফার, আবু আহমেদ হাসনাত, জামাল হোসেন, লায়ন হেলাল উদ্দীন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, ইসহাক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, মামুন মিয়া, ইকবাল মিয়া, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ারম্যান, শহিদুল্লাহ চৌধুরী।












