চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার পুলিশ, র্যাব, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। দেশে আজ কারও নিরাপত্তা নেই। গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিস্কার করে বলেছে, এদেশে কোনো মানবাধিকার নেই। র্যাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যেহেতু র্যাব পুলিশকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে তাই শুধু র্যাবকে নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আগের রাতে ভোট নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ডা. শাহাদাত বলেন, চলমান আন্দোলন কর্মসূচিগুলোতে জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার ঠেকাতে সরকার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তারা কর্মসূচিতে আগত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে এ পর্যন্ত ৫ জনকে হত্যা এবং শত শত নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। উপস্থিত ছিলেন সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, আবদুল মান্নান, হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, এইচ এম রাশেদ খান, বেলায়েত হোসেন বুলু, জেলী চৌধুরী, মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।