বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ হামলা মামলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, এবার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দিবে না। লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে হামলা-মামলা করে বাধাগ্রস্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। জনস্রোতকে আটকে রাখতে পারেনি। এই সমাবেশের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে জনগণ একটি বার্তা দিয়েছে হামলা মামলা করে কোন ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা ইউসুফকে দেখতে গেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। গত ১২ অক্টোবর বিএনপির গণসমাবেশে আসার পথে আমবাগানে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত আহত হন ইউসুফ। সমাবেশে বিএনপির সাথে সাধারণ জনগণও যোগ দিয়েছে দাবি করে এটাকে আন্দোলনের সাফল্য বলে মন্তব্য করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, ড্যাব নেতা ডা. তমিজ উদ্দিন মানিক, ডা. বেলায়েত হোসেন ডালি, ডা. সরোয়ার আলম। এর আগে আমীর খসরু র্যাবে হাতে আটক আকবরশাহ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাসেলের বাসায় যান। এ সময় তিনি তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি বলেন, রাসেলকে গ্রেপ্তার করে নির্দিষ্ট সময় থানায় হস্তন্তর না করে মেরে ফেলা ও অস্ত্র মামলা দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আমীর খসরু গণসমাবেশের আগের দিন গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা রেহানউদ্দিন প্রধান, যুবদল নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস, মো. মহিউদ্দিনের বাসায় যান ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, নগর বিএনপির সদস্য মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন চৌধুরী মাইনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জমির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
