বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগাররা সব হারিয়ে এখন সেলফি তোলে মনোবল চাঙা রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ওই সেলফি তোলে কোনো লাভ নেই। সারা বিশ্বের বিবেক বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজারের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় তিনি ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন। খবর বাংলানিউজের।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন– বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সুহেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
পথসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দিতে হবে। এ সময় তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মৌলভীবাজারের শেরপুরের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের উপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় মিলিত হন রোডমার্চে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেল ৩টা থেকে বিএনপির রোডমার্চ ঘিরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৭টি উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রোডমার্চকে স্বাগত জানিয়ে শত শত নেতাকর্মী শেরপুরে জড়ো হন। এ সময় নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। কিছু সময়ের জন্য সড়কজুড়ে তৈরি হয় তীব্র যানজট। তবে পথসভা চলাকালীন মুষলধারে বৃষ্টি নামায় কর্মসূচিতে তৈরি হয় ছন্দপতন। পরে বৃষ্টি কিছুটা কমলে পথসভায় বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি।