পদশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং অনেক ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের আশার প্রতীক যেন এ সমস্ত হাসপাতালগুলো। কিন্তু; সেবার জন্য গেলে অনেক সময় পোহাতে হয় নানা ধরনের বিপত্তি। বিশেষ করে জেলাভিত্তিক সদর হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে সেখানে রোগীর সিরিয়াল অনেক বড় থাকে, এমনকি একই লাইনে পুরুষ মহিলা সিরিয়াল ধরে ডাক্তারের কাছে গমন করে। সরকারি ডাক্তারগণ যখন প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখে সে সমস্ত রোগীরা অনেক ক্ষেত্রে সিরিয়াল ভঙ্গ করে ডাক্তারের কাছে সরাসরি গিয়ে সেবা নেয়। ডাক্তারের সহকারীও যেন দেখে না দেখার ভান ধরে থাকে, যদিও সে নিজেই তাঁদের প্রবেশ করতে সাহায্য করে। মানহীন এবং মানসম্মত অনেক ঔষধ কোম্পানির লোক ডাক্তারকে তাঁদের কোম্পানির ঔষধ প্রেসক্রিপশন লিখতে প্রলুব্ধ করে। বেসরকারি বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, সেখানেও যেন প্রয়োজনে কিংবা বিনা প্রয়োজনে টেষ্ট দেওয়া হয়। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী যেখানে ভর্তি থাকে তাদের ব্যবহৃত শৌচাগার এমন অবস্থা যেখানে সুস্থ মানুষ প্রবেশ করলে অসুস্থ হয়ে বেরিয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষ যেন কোনো প্রকার ভোগান্তিতে না পড়ে, সে ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
মো. আব্দুল করিম গাজী
শিক্ষার্থী,
আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা, ফেনী।