বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজারে সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা দোকানগুলো অবশেষে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেক পাটোয়ারী।
এলাকাবাসী ও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বহুল পরিচিত এই জলদী মিয়ার বাজারে প্রধান সড়কের পাশে খাস জমির উপর চৌধুরী মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করছিলেন হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতাওয়াল্লী মুঈনদ্দিন চৌধুরী। বাজারে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের উপর নির্মিত চৌধুরী নিউ মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ানের ভূমি দখল করে দোকান নির্মাণ করার কাজ ইতোপূর্বে স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তা না মেনে রাতের অন্ধকারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো দোকানগুলো। এ বিষয়ে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই জায়গাটি হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মালিকানাধীন চৌধুরী নিউ মার্কেটর পার্কিং ও খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা। আমার বড় ভাই নিজে ওয়াকফ এস্টেটের অনুমতি না নিয়ে রাতের অন্ধকারে মার্কেটের সামনে থাকা পার্কিংয়ের জায়গায় বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেন। যেখানে ওয়াকফ এস্টেটের লিখিত কোনো অনুমতি নাই। কোনো আয়–ব্যয়ের হিসাবও নাই। আমি নিজে বেশ কয়েকবার উপজেলা
প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়ায় আমি উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতাওয়াল্লী মুঈনদ্দিন চৌধুরীকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, চৌধুরী মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার বলা হলেও রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছিল। এখন অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।







