সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ঢাবিতে বিক্ষোভ

| বৃহস্পতিবার , ৬ জুন, ২০২৪ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেন। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।

নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে; এবং নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ ৭ শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রিটের বিবাদীরা ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পাবলিক সার্ভিস (পিএসসির) চেয়ারম্যানসহ ছয়জন।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিল। এটা আজকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ঢাবিতে বিক্ষোভ : সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছে। গতকাল বুধবার উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল বের করে একদল শিক্ষার্থী। তারা কলাভবন ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে মানববন্ধনও করে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়।

মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই’, ‘কোটা বৈষম্য মানি না’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন তারা।

মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাইকোর্ট কীসের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছে আমরা জানি না। আমরা হাই কোর্টের রায় প্রত্যাখান করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আজসহ টানা তিনদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
পরবর্তী নিবন্ধবেয়াইয়ের কাছে বেয়াইয়ের পরাজয়