সরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া সংশোধন নয়

| রবিবার , ১২ মার্চ, ২০২৩ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

এখন থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া সংশোধন করবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে তথ্য গোপন করে যারা চাকরি নিয়েছেন, তাদের পার পাওয়ার দিন শেষ হচ্ছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাকরি পাওয়ার পর অনেকের বেতন আটকে যায় জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে বয়সের মিল না থাকার কারণে। এছাড়া অন্যান্য তথ্যের গরমিলও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। এই অবস্থায় তারা ধরনা দেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এতে পাওয়া যায় তথ্য গোপনের আলামত। এতে যেমন যোগ্য প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হন, আবার আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন সংশ্লিষ্টরা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকটি এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সময় এনআইডি আমলে না নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। খবর বাংলানিউজের।

এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য এনআইডি শাখায় আবেদন করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, নিয়োগ পাওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমলে নেওয়া হয়নি বা নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা গোপন করেছেন। এ ক্ষেত্রে চাকরি প্রাপ্তির পর বেতন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রে লিপিবদ্ধ তথ্যাদির সাথে নিয়োগপত্র/সার্ভিস বহিতে লিপিবদ্ধ তথ্যের তারতম্য হওয়ার কারণে বেতন নির্ধারণ সম্ভব হয় না।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টে বয়স কম দেখিয়ে চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও পরবর্তীতে বেতন নির্ধারণ না হওয়ায় ওই সব ব্যক্তি আর্থিক ক্ষতিসহ মারাত্মক ভোগান্তি ও হয়রানির সম্মুখীন হন। অন্যদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি আমলে না নিয়ে সরকারি দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির তথ্যউপাত্ত বিকৃতি করাসহ নানা রকম অসদুপায় অবলম্বনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ভোটার তথা পরিচয় নিবন্ধনকালে একটি জন্ম সনদ ব্যবহার করে। পরবর্তীতে ভিন্ন আরেকটি জন্ম সনদ ব্যবহার করে চাকরি লাভ করে; চাকরি প্রাপ্তির পর চাহিত জন্মতারিখ অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হলে আবেদনকারীর পিতা/মাতার বয়সের সাথে তার নিজের বয়সের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে সহোদর ভাইবোনের বয়সের ক্ষেত্রে অসংগতি দেখা দেয়; বিশেষত চতুর্থ শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জন্ম তারিখ গোপন করে চাকরিতে যোগদানের ফলে যোগ্য ব্যক্তি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রয়োজন সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা
পরবর্তী নিবন্ধআমেরিকার ষোড়শ বৃহত্তম ব্যাংক দেউলিয়া, বন্ধ ঘোষণা