সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান নিয়ে হাই কোর্টের প্রশ্ন

| সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮ এর এ সংক্রান্ত ধারা ৪১(১) ও ৪১(৩) সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩৫(৬) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানাতে দেওয়া হয়েছে রুল।
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের রিট আবেদনে গতকাল রোববার এ রুল দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ। খবর বিডিনিউজের।
রুলে ফৌজদারি মামলার আসামি কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পদায়ন করা থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত। জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ মোট ৮ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
২০১৮ সালে প্রণীত সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আজিজুর বলেন, ফৌজদারি মামলার পর যে কোনো নাগরিককে পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় রেখে প্রণীত ওই আইন সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩৫(৬) অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনো আইনই সংবিধানকে লঙ্ঘন করতে পারে না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে এরকম একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশ সেটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে সরকারি কর্মচারী আইনে সেই ধারাটিই সুকৌশলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এর ব্যপ্তি আরও বাড়িয়ে। সরকারি চাকরি আইনে পূর্বানুমতির পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, যদি বিচারকারী আদালতের গোচরীভূত হয় যে, তার আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সরকারি কর্মচারী, তাহলে আদালত অনতিবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বরে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের করোনা টেস্ট করানোর পরামর্শ
পরবর্তী নিবন্ধগুলাব আঘাত হেনেছে ভারতীয় উপকূলে