সম্পদের হিসাব জমা দিতে সরকারি কর্মচারীদের আরো দেড় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলেয়া আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সম্পদের হিসাব জমা দিতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। সমপ্রতি এনবিআর রিটার্ন দাখিলের সময় একমাস বাড়ানোর পর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসল। এ নিয়ে দুই দফা সময় বাড়ানো হল।
দুর্নীতি প্রতিরোধ ও আয়–ব্যয়ের স্বচ্ছতা আনতে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে একটি ছক প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সময় বেঁধে দিয়েছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সময় এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি কর্মচারীদেরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিসাব বিবরণী দেওয়ার কথা থাকলেও এ বছর তা দিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দেওয়ার জন্য সে নির্দেশনায় বলা হয়। খবর বিডিনিউজের।
সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে এবং তথ্য গোপন করলে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, এই ক্ষেত্রে দুই ধরনের দণ্ড হবে– লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, লঘুদণ্ড হচ্ছে তিরষ্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা; কর্তব্যে অবহেলা বা সরকারি আদেশ অমান্য করার কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ বেতন বা আনুতোষিক থেকে আদায় করা; বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ। আর গুরুদণ্ড হলো– নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত করা।
কে কোথায় দাখিল করবেন : ক্যাডার/নন–ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন।
গেজেটেড/নন–গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারীরা (দশম থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছকে সম্পদ–বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সম্পদ বিবরণীটি সিলগালা করা খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।