যারা সরকার উৎখাতের বিপ্লবে নেমেছিল, তারা ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতদিন যারা সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে আসছিল, তাদের পায়ের নিচে এখন মাটি আছে কি না, সেই প্রশ্নও তিনি রেখেছেন। গতকাল বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা সরকারের পায়ের নিচে মাটি খোঁজে, তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে কি না, সেটি সন্দেহ। শুনি যে সরকার নাকি উৎখাত করে ফেলবে। আমাদের পায়ের নিচে নাকি মাটিই নেই। এরা লম্বা লম্বা কথা বলে শুধু বিপ্লব করবে। বিপ্লব করতে করতে এরা ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলন ঘিরে ঘটে যাওয়া নাশকতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি–জামায়াতের জ্বালাওপোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস এসবের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে সাক্ষ্য দিতে হবে, যাতে তাদের সাজা হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এদের কিন্তু ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, এরা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু, এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রু।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রথমে তারা নির্বাচন ঠেকাবে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। তাদের প্রভুরা আছে, তাদেরও চেষ্টা ছিল, কিন্তু তারা সেটা পারেনি। কারণ বাংলাদেশের জনগণই আমাদের শক্তি। আর এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রেখেছে, আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা সরকারে এসেছি। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, কেউ যেন মাদক, অগ্নিসন্ত্রাস দুর্নীতি এবং কোনো রকম অপকর্ম যেন করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা চাই, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির একটি সন্ত্রাসী দল। তাদের সন্ত্রাসের শিকার আমাদের নেতা–কর্মীরা। আমরা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে তাদের অপকর্মের জবাব দিই।
নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রযাত্রা চলছে। মেয়েদের যেখানে দিই, তারা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে। একটা সময় ছিল মা বাবা মেয়েদের বেশি পড়াতে চাইত না। এখন মেয়েরা সবক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা দেখাচ্ছে। নারী পুরুষ একসাথে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে। মেয়েদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস, শিক্ষা–দীক্ষায় মেয়েরা উন্নত হবে।