সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে নানা কর্মসূচির মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ নিতে একটি উচ্চ ক্ষমতার কমিটি গঠন করেছে সরকার। জনপ্রশাসন সচিব বলেছেন, এই কমিটির অর্থ কোনো আশ্বাস না, ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি সচিব ছিলেন অবসরে গেছেন, ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন। গত ২১ আগস্ট তাকে বাংলাদেশ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করে অন্তর্বর্তী সরকার। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত এল। খবর বিডিনিউজের।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা বোঝাতে ফাইল নিয়ে গাড়ি বাদ দিয়ে মোটর সাইকেলে করে রওনা হওয়ার কথাও সাংবাদিকদের জানান
তিনি। সচিব বলেন, সরকার চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে যে নানাভাবে আন্দোলন, এই আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে একটা কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। কমিটির আহ্বায়ককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে কয়েকজন সদস্য দরকার, উনি নেবেন। সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে একদল শিক্ষার্থী। চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’এর ব্যানারে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া নেয়নি, বরং না একাধিকবার নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জমায়েত হলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে সেখান থেকে ১৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি এ আন্দোলনের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা শরিফুল ইসলাম শুভ। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে বলেও দাবি তার।
আন্দোলনকারীদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বল প্রয়োগ এবং তাদের দাবিকে কীভাবে দেখছেন– এই প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সরকার তো কমিটির অংশ। এটি উচ্চ ক্ষমতার কমিটি। এর মানে হচ্ছে তোমাদের কোনো আশ্বাস না, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।