চুরিই তার মূল পেশা। চুরির আগে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত চক বা ইটের টুকরো দিয়ে দাগ কেটে আসে কোন কোন বাসায় চুরি করবে। মূলত ড্রেনের পাশের ভবনগুলোই থাকে তার টার্গেটে। যে বাসায় লাইট জ্বলে না চুরির জন্য সে বাসা টার্গেট করে সে। পাইপ বেয়ে উপরে উঠে গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে চুরি করে নিরাপদে সটকে পড়ে। বাবলু প্রকাশ বাবুল নামে সে চোর অবশেষে গত মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে জনৈক আল মামুন করিম সপরিবারে গ্রামের বাড়ি যান। একই বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া হাবিব উল্লাহ গত ১৯ জুলাই রাত দশটার দিকে ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ২২ জুলাই বাড়ির মালিক আমিনুর রহমান থেকে খবর পেয়ে তারা বাসায় এসে দেখেন প্রধান দরজায় তালা লাগানোর হ্যান্ডেল কেটে সবকিছু চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও গত ২৭ জুলাই ভোরে কোতোয়ালী থানাধীন চুড়িয়ালটুলি লেইনস্থ সর্দারের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। ১৩ মে বিকেলে পাথরঘাটা ৩ নং চুরিয়ালটুলি লেইনস্থ আব্দুল জব্বার সওদাগরের বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় চুরি হয়।
বাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতিটি ঘটনা সে-ই ঘটিয়েছে। পরে তার তথ্য মতে তার বাসা থেকে চুরি করা একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন ও একটি ব্লেন্ডার মেশিন, স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন সময়ে চুরি করা স্বর্ণালংকার উত্তম দে’র (৩৮) কাছে বিক্রির কথা জানায়। পরে উত্তম দেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবলু জানায়, ৫ বছর ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩৫০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে সে। ইতিপূর্বে সদরঘাট থানাধীন বাচুনির মার কলোনীতে বসবাস করত। পরবর্তীতে কর্ণফুলী থানাধীন মাজারগেইট এলাকায় বসবাস করা শুরু করে। চুরির ঘটনায় জেলে যাওয়ায় উক্ত বাসার মালিক আসামির স্ত্রীকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। সে ক্ষোভে আসামি জেল থেকে বের হয়ে উক্ত মালিকের বাসার ৬টি জানালা কেটে বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে আসামি কর্ণফুলী থানাধীন সৈন্যরটেক এলাকায় বসবাস করা শুরু করে। সেখান থেকে সে বিভিন্ন বাসা রেকি করে চুরি করে।