প্রচন্ড দাবদাহের পর শুরু আষাঢ়ের আনাগোনা। মন জেগে ওঠে বৃষ্টির রিনি ঝিনি শব্দে। নান্দিকতায় ছেয়ে যায় অপূর্ব সম্ভাবনা। প্রকৃতির বিহবলতায় ছোয়ায় ধরা দেয় বাদল দিনের কদমফুল। কিন্তু নগর জীবনে তার স্বরূপ সম্পূর্ণ উল্টো। বর্ষণ জনিত জলাবদ্ধতা, কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে বৃষ্টি বর্ষণে যেখানে হওয়ার কথা ছিল স্বস্তির ঠাঁই, সেখানে বৃষ্টিকে মনে হয় শান্তি। বৃষ্টিকে মিষ্টি বলে ভাবা যায় না। মনে হয় চরম অনাবৃষ্টি।নগরবিদদের পর্যাপ্ত পরিকল্পনার দীর্ঘসূত্রতার ভেসে যায় শহর নগর। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, বড়পুল, হালিশহর, খাতুনগঞ্জ, বহাদ্দার, কাতালগঞ্জ,ষোলশহর, পাঁচলাইশ, আগ্রাবাদ সিডিএ এক্সেস রোড, চকবাজার বাকলিয়া, দেয়ানবাজার সহ আরো অনেক সড়ক পানিতে ডুবে হয়ে উঠে বিরাট জলাশয় যুক্ত ডোবা। সামপ্রতিক কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়ায় লাঘব হলে ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসেনি।
তাই শুরু হয় দুর্বিষহ দুর্ভোগ। বন্দরের সাথে সংযুক্ত ভারী যানবাহনে পোর্ট কানেটিং সড়কের দুরবস্থা লাঘবে সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বাস্তবমুখী নানা অনিয়মের হাল টেনে ধরে চলাচলের উপযোগী করেন। প্রতিনিয়ত উনার জোরালে মনিটরিং স্বস্তির ছায়া মিলে। তারপরও স্বল্প সময়ের দায়িত্বে তিনি সবটুকু কাজ সম্পূর্ণ করতে না পারায় বাকী কাজটি পরিপূর্ণতার কাঠামো আনার জোরালো দাবী জানাচ্ছি। চরম দুর্দশায় পড়ে নাগরিক জীবন। দেখা দেয় নানাধিক সংকট।
আশা ভরসার সবই যেন হতাশার করুক্ষেত্র। সবই যেন বিলম্বিত সাজগোজ। পরিকল্পনার অভাব নেই, অভাব শুধু বাস্তবায়নের। নতুন মেয়রের কাজ কর্মে তেমন উদ্যোগ বা পরিকল্পনার তেজদীপ্ততা দেখিনা। ইতিমধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার নাকালের দৃশ্যমান নমুনা চট্টগ্রামবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। বিধাতা যেন নগর দর্পণের জন্য সে স্বরূপ দিয়ে শুদ্ধতম কর্মের ইশারা দিয়ে গেলেন। আমরা স্বস্তি চাই। স্বস্তির পরশে নগর গড়তে চাই। আর তার জন্য চাই সময়ের সদ্ব্যবহার। হায়রে দুর্ভাগা চট্টগ্রামবাসী। আর বিলম্ব নয়। জলাশয়মুক্ত নগর গঠনে নতুন জানালার ধার সৃষ্টি করুন। মাননীয় মেয়র, আপনার স্বগোতক্তিঃ আমি নগর পিতা নই, নগরের সেবক হয়ে থাকতে চাই। আমরা নগর জীবনের স্বাদ গ্রহণে আপনার সে কথামালায় পদধ্বনির পেতে দুহাত বাড়িয়ে আছি।