১৭ বছর পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর নগরীতে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি–বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনের পরপর কেন্দ্রীয় নেতারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এর পর ৫ মাস পেরিয়ে গেছে। ৫ মাসেও ঘোষণা করা হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য দেড় থেকে দুই শতাধিক প্রবীণ ও তরুণ নেতা নানাভাবে চেষ্টা তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পরপর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে নতুন কমিটির সভাপতি পদে পুনরায় মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় মফিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন। সম্মেলনের দুই মাসের মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তার মৃত্যুর পর পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় কেন্দ্র থেকে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় শীর্ষ এক নেতা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রতিদিন ভিড় করছেন তরুণ নেতারা। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতাদের বেশ কয়েকজন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য লবিং করছেন।
জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া নতুন কমিটিতে সহসভাপতি থেকে শুরু করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনাসহ সদস্য পদে ৬৯টি পদ রয়েছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ এক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য জেলার সাবেক নেতা এবং তরুণদের অনেকে কেন্দ্রে নানাভাবে চেষ্টা–তদিবর করছেন। কমিটি তো ৭১ সদস্যের, কিন্তু নেতা অনেক। কমিটিতে সবার স্থান হবে না।
জেলা কমিটির সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা আজাদীকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেলার রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা চাই আমাদের সঠিক মূল্যায়ন হোক।
কেন্দ্রীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলার সাবেক নেতাদের মধ্যে ক্লিন ইমেজের নেতাদের পদোন্নতি হতে পারে। একই সাথে জেলার সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের ত্যাগীদেরও স্থান হতে পারে কমিটিতে।












