সম্মান ও সম্পর্ক

মিতা দাশ | সোমবার , ২৬ জুন, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

সম্মান ও সম্পর্ক এই দুই পাশাপাশি অবস্থান করে। অনেকটা প্রদীপ ও শিখার মতন। কেউ কারো থেকে কম বা বেশি নয়, বরং সমান সমান। অনেকটা স্বামী স্ত্রীর মতোনও। ভালোবাসায় সম্মান বাড়বে, চিৎকারে নয়। হাত এগিয়ে দাও হাতের বদলে ভালোবাসা পাবে, আঙুল তুলে কথা বললে নয়। বিশ্বাস করতে হবে একজন আরেক জনকে। অবিশ্বাসের দ্বারা নয়।

স্বামীকে সাথী হতে হবে সুখে দুঃখে বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকতে হবে। স্বামী মানে শাসন নয়। আদর, ভালোবাসা, স্বাধীনতা দিতে পারা একজন বন্ধু। বিপদে যারা তোমাকে সব সময় ফেলে চলে যায় বা পাশে থাকে না তো মার খুব কাছের কেউ, তারা তোমার উপকার করে। কেননা তোমাকে একা করে দিয়ে তোমার সমস্যায় একা লড়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার সাহস ও যোগ্যতা অর্জন করতে শেখায় ওরা।

তুমি কেউ নেই ভেবে একাই সব করতে হবে বুঝে এগিয়ে যাও আরো সামনে আর নিজের যোগ্যতায় সফলতা অর্জন করো। এতে তো তোমার লাভই হলো। তাই কোনো বিষয়েই মন খারাপ করার দরকার নেই। সব কিছুতেই ভালো চিন্তা করা উচিত।

যত ভালো হবে ভাববে ততই সফলতা আসবে, মনে আনন্দ আসবে। আর যতই একা, পারব না, হবে না আমাকে দিয়ে এরকম ভয় নিয়ে মনে মনে ভেবে চলবে ততই ব্যর্থ হবে ও পিছিয়ে পরবে।

পেছনে যারা নিন্দা করে মূলতঃ তারা তোমার উপকারই করে। তোমার ভুলগুলো সব ধরিয়ে দেন নিন্দা করার মধ্যে দিয়ে, আর তুমি নিজের ভুল শুধরে নিয়ে ভালো ভাবে চলতে সক্ষম হও আনন্দ নিয়ে।

কোকিলের স্বর মধুর। কিন্তু কোকিল বর্ষাকালে ডাকে না কেন? কোকিল তখনও থাকে তবে চুপ করে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ বর্ষাকালে চারিদিকে পানি জমে অনেক ব্যাঙের জন্ম হয়। ব্যাঙ চারদিকে ডাকতে থাকে। ব্যাঙের ডাকের আওয়াজের কারণে তখন কোকিলের ডাক শোনা যাবে না তাই কোকিল বসন্ত কালে চুপ করে থাকে।

জ্ঞানী ব্যক্তিরাও চুপ করে যান মাঝে মাঝে। কারণ মূর্খ ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে নিজের জ্ঞানের অপমান হবে। মূর্খরা জ্ঞানী ব্যক্তির কদর বুঝতে পারবে না, তাই মূর্খরা বলতে বলতে একসময় যখন থেমে যাবে তখন জ্ঞানী ব্যক্তির কথা বলার সময় আসবে। সময় ও পরিস্থিতি সব সময় সবার একরকম থাকে না। তাই সম্মান ও সম্পর্ক দুইয়ের মর্যাদা ধরে রাখা উচিত আমাদের সকলের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিবাহ বিচ্ছেদ ও কাবিননামা
পরবর্তী নিবন্ধআর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক টাকা আদায়ে মামলা দায়েরের সময়সীমা প্রসঙ্গে