সম্ভাব্যতা যাচাই ও ডিজাইন শেষ, অর্থায়নে এডিবি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২১ মে, ২০২২ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কিংয়ের আওতায় আনতে বাংলাদেশ রেলওয়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প পরিচালক আরো দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন। যখনই শেষ হোক একে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করতে গেলে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ রেললাইনটি আধুনিকায়ন করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী ৪৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এডিবির অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী ৪৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হয়েছে। ডিজাইনের কাজও শেষ। এডিবির অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে আপাতত বিদ্যমান লাইন দিয়ে চলাচল করবে। নতুন প্রকল্পের অগ্রগতি অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন; সহজ ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহনের উদ্দেশ্যে সরকার ২০১০ সালের ৬ জুলাই ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ, বনাঞ্চল নিরাপদ রাখার জটিলতাসহ নানাভাবে প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে এ প্রকল্পের সংশোধিত এডিপি অনুমোদিত হয় ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল। প্রকল্পের সংশোধিত এডিপির আওতায় প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে, যা শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের মধ্যে। প্রথমে পর্যায়ের এই প্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার কোটি টাকা থাকলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের সময়সীমা ধরা হয়েছে ৪ বছর। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নের এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউরোপে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ১০০ ছাড়িয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধসাগরতলের ইন্টারনেট ক্যাবল চিহ্নিত করবে ভূমিকম্প