চট্টগ্রাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, গীর্জার পাশাপাশি একই মহল্লায় সকল ধর্মাবলম্বীর বসবাস অথচ পরস্পরের সাথে রয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, সামাজিক অবস্থান ও হৃদ্যতা। মাত্র কয়েক ব্যক্তি বা প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ গোষ্ঠী গুজব ছাড়িয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার প্রশাসন সবসময় কঠোর। এর সাথে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইমাম, পুরোহিত, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সমাজের প্রভাবশালী নেতৃত্বকে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে এবং বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে জাতিগত ঐক্যবদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষার কোন বিকল্প নাই। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোরহান উদ্দিন মোঃ আবু আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আনোয়ারুল হক আজহারী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, হাটহাজারী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ প্রসাদ মহাজন, ববিতা বড়ুয়া, রেভারেন্ড হাবার্ড অজয় মিত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রশিক্ষণ দেন সমন্বয়কারী সমিষ্টি জাহেদুল হক খান। প্রশিক্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ধর্মীয় ও শ্রেণি পেশার ১০০ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।