কখনো কখনো মানুষ খুব ব্যতীত হয়ে পড়ে ।কারণ নিজেদের পরিবারের জন্য এত কিছু করেন তাঁরা আর পরিবারের কিছু আপন মানুষ তাঁদের দেখলেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে বিরক্তও হয়ে পড়ে তাদের উপর। কখনো কখনো মানুষ নিজেদের সন্তানকে বিকাশের পথে অগ্রসর করার জন্য তাদের উপর একটু বেশি জোর প্রয়োগ করে। যাতে তারা পরিশ্রম করে সফলতা লাভ করতে পারে।
কিন্তু তারা উল্টো বিরক্ত হয়ে পড়ে বাবা মায়ের উপরই। কখনো সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেয়ার জন্য মা, বাবা সীমা নির্ধারিত করে দেন।তখন পিতা মাতা সন্তানের চোখে তাদের প্রতি ঘৃণা দেখতে পান।তাহলে মানুষ কেন ব্যতীত হবে না?
সূঁচের দ্বারা যখন কোন বস্তু সেলাই করা হয়, তখন সূঁচের আঘাত বস্ত্রকেই সহ্য করতে হয়।কিন্তু তাতে সূঁচ বা উদ্দেশ্যে কোন প্রভাব পড়ে না। কারণ সূঁচের মতো মা বাবাও নিজের কর্ম করেন পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে।তাই তাদের ব্যতীত হলে চলবে না। তবেই উদ্দেশ্য শুভ প্রমাণিত হবে। কেউ বিরক্ত হচ্ছে বলে, কারো চোখে নিজের প্রতি ঘৃণা দেখার ভয়ে কখনো পিছিয়ে যাওয়া যাবে না। কষ্ট না করে বিকাশ বা সফলতা সম্ভব নয়।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে মাঝে মাঝে অনেক সমস্যা একসাথে এসে পড়ে।সমাধান খুঁজতে খুঁজতে কেউ খুঁজে পাই,, কেউ সমাধানের যতই চেষ্টা করুক না কেন খুঁজেই পাই না। তখন বন্ধু, বান্ধব আত্মীয়ের বা নিজের উপর দোষ দিয়ে থাকে।
কিন্তু খেয়াল করে দেখুন,আসলে কেউই দোষী নয়,দোষ হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির। সব পরিস্থিতিতে মন শক্ত থাকতে হবে। কঠিন থেকে কঠিনতর সমস্যাও মানুষ সমাধান করতে পারবে শুধু মনের জোর সঞ্চয় করে। মন যদি দূর্বল থাকে তাহলে সামান্য সমস্যাও অনেক বড় হয়ে ধরা দিবে। মনের জোর, সৎকর্ম, সৎসাহস রেখে চললেই সফলতা আসবেই। কর্ম করেই যেতে হবে তবেই সব কিছু শুভ হবেই।।