সম্পদের সুষম বণ্টন হলে দারিদ্র্যের গ্লানি মুছে যেত

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে দৃষ্টির বিশেষ বিতর্ক

| রবিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন যেন ছায়া জাতিসংঘ। কেউ ভারত, কেউ বাংলাদেশ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া। ছিল চীন, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। তুমুল বিতর্ক চলে অধিবেশনে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা পর্যাপ্ত নয়এই বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এতে সাধারণ পরিষদের ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। ‘মানবমর্যাদা, স্বাধীনতা আর ন্যায়পরায়ণতা, দাঁড়াবো সকলেই অধিকারের সুরক্ষায়’ এই শ্লোগানে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে ইপসা ও দৃষ্টি চট্টগ্রামের আয়োজনে এই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতীকি সাধারণ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব তানভীর শাহরীয়ার রিমন। অধিবেশনে পর্যবেক্ষক ছিলেন শিক্ষক আফজালুর রহমান রিমন, শিক্ষক জয়শ্রী দাশ, প্রাক্তন বিতার্কিক জুনায়েদ মুফরাদ মৌসুম, রিদোয়ান আলম আদনান। ছায়া জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন প্রাক্তন বিতার্কিক মুন্না মজুমদার ও উপ মহাসচিব ছিলেন হোসাইন সামী।

বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, ব্যাংকার রাশেদুল আমিন রাশেদ ও ইপসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন। দৃষ্টির সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আয়োজনে আরো বক্তব্য দেন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাত।

রাশেদুল আমীন রাশেদ বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সবার সচেতন হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক আঙিনায় এরকম আয়োজন করতে পারলে হয়তো জাতিসংঘ খুব ভালো কিছু সমাধান পাবে। তানভীর শাহরীয়ার রিমন বলেন, তরুণ বিতার্কিকরা যেভাবে জাতিসংঘ মডেল বিতর্কে আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করলো একদিন তারা বিশ্বসভায় বাংলাদেশকেও এভাবে দক্ষতার সাথে প্রতিনিধিত্ব করতে সমর্থ হবে। মোহাম্মদ আলী শাহীন বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও সচেতন করায় দৃষ্টির আয়োজন ভালো ভূমিকা রাখবে। মাসুদ বকুল বলেন, যদি পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন ঘটানো সম্ভব হতো তাহলে পৃথিবী থেকে দারিদ্র্যের গ্লানি মুছে ফেলা যেত। সাইফ চৌধুরী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় সবচেয়ে বড় উদাহরণ তৈরি করেছে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিয়ে। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এটাও প্রমাণ করতে পেরেছি যে আমাদের তরুণরা শুধু নিজেদের না, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়েও সচেতন।

অধিবেশনে শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চবির আরিফুল ইসলাম আসিফ। অসাধারণ প্রতিনিধি পুরস্কার অর্জন করে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাজ্জাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী ও বিশেষ প্রতিনিধি পুরস্কার অর্জন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিব খান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের ১১৫ বছর পূর্তি উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধশিল্পকলায় শিশু কিশোরদের কন্ঠে কবিতার ঝংকার