সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

করোনা সতর্কতায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সরকারের নির্দেশনা মতে আপাতত সমুদ্র সৈকত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে শহর ও সাগরপাড়ের হোটেল-রেস্তোরাঁ ও দোকানপাটসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকত থেকে পর্যটকদের তাড়িয়ে দেয় টুরিস্ট পুলিশ। এরপর সকাল ১১টার মধ্যে পুরো সৈকত খালি হয়ে যায়। অবশ্য করোনা সতর্কতায় সৈকতের চেয়ারছাতা ও বিচ স্পোর্টস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকে। তবে করোনা বেড়ে যাওয়ার পর গত ২৫ মার্চ থেকে কক্সবাজারে তেমন পর্যটক নেই বলে জানান মেরিন ড্রাইভ হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. মুকিম। তার মতে, কক্সবাজার শহরে এখন ৫ হাজার পর্যটকও নেই। করোনা আতংকে এমনিতেই মানুষ এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
টুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, সৈকতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পর্যটকদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া সেন্টমার্টিনে চলাচলকারী জাহাজগুলোর অনুমতি ৩১ মার্চের পর উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সেগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে গতকাল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪০৪ জনের পরীক্ষায় ৪৩ জনের করোনা ধরা পড়ে। এরমধ্যে জেলা সদরে ২৩ জন রোগী রয়েছে বলে জানান কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য, করোনা সতর্কতায় গতবছর ১৮ মার্চ থেকে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১ জুন থেকে একমাসের জন্য কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন, শহরকে রেডজোন ঘোষণা করে সকল ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করে কক্সবাজার শহরের দোকানপাট খুলে দেওয়া হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো সীমিত পরিসরে চালুর অনুমতি দেয়া হয় গতবছরের ১৭ আগস্ট থেকে। অবশ্য কক্সবাজারে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ২৪ মার্চ। ইতোমধ্যে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও করোনারোগী বাড়তে শুরু করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংক্রমণ প্রতিহত করতে দেশবাসীর সহয়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধপারকি সৈকত ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা