গতকাল পূর্ব দিগন্তে উদিত বছরের শেষ সূর্য পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যাওয়ার মধ্য দিয়ে স্মৃতির অতলগহ্বরে হারিয়ে গেলো বছর ২০২৪। ঘটনাবহুল এই বর্ষকে বিদায় জানাতে মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। সবাই শেষ সূর্যাস্তের সাক্ষী হতে ভিড় জমায় সমুদ্র কোলে।
পুরনো বছরকে ২৪কে বিদায় জানানোর পাশাপাশি নতুন বছর ২৫কে বরণেও বর্ণিল উল্লাসে মুখরিত হয়ে উঠে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। রাত ১২টার আগেই হাজার হাজার পর্যটক সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন। সেখানে তারা দলবেঁধে গান–বাজনাসহ নানা আনন্দ–উল্লাসে মেতে উঠেন। থার্টিফার্স্ট নাইট অনুষ্ঠান বর্ষবরণের বড় আয়োজন হলেও এবারও কক্সবাজারে উন্মুক্ত কোনো আয়োজন নাই। প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় উন্মুক্ত স্থান কিংবা বাসার ছাদে কোনো আয়োজন হয়নি। তবুও নিয়ন্ত্রিত থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে বিপুল পর্যটক সমাগম হয়েছে দেশীয় পর্যটনের এই নগরে। বিপুল পর্যটক আগমনে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট–গেস্টহাউসের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। শহরজুড়ে বসানো হয় চার স্তরের নিরাপত্তা। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
জানা গেছে, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে উন্মুক্ত কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও সীমিত পরিসরে আয়োজন করেছে তারকামানের হোটেলগুলোতে। এসব হোটেলের ভেতরে কনসার্টসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সজাগ রয়েছে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন–শৃঙ্খলাবাহিনী যৌথভাবে টহল জোরদার করবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সৈকতের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা অন্য কোনও অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি। তবে সৈকতে নির্বিঘ্নে ঘুরে আনন্দে মেতে উঠেন পর্যটকরা।