সমালোচনা মেনে নেবেন পাকিস্তানের নতুন কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ২২ নভেম্বর, ২০২৪ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্ব একই সঙ্গে পালন করায় একসময় মিসবাহউলহাকের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন আকিব জাভেদ। এখন তিনি নিজেই আছেন সেই দ্বৈত ভূমিকায়। তবে নিজের ব্যাপারটি একটু ভিন্ন বলেই দাবি করলেন আকিব। সমালোচনা মাথা পেতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়ে রাখলেন পাকিস্তানের সাদা বলের দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ। গ্যারি কারেস্টেনের পদত্যাগের পর সমপ্রতি অস্ট্রেলিয়ায় সীমিত ওভারের সিরিজের সফরে পাকিস্তানের দায়িত্ব পালন করেন জেসন গিলেস্পি। পরে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আকিবকে। পাশাপাশি নির্বাচক হিসেবে আগের দায়িত্বও পালন করে যাবেন সাবেক এই পেসার। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের জোর আলোচনা, আগামী মাসের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর গিলেস্পিকে সরিয়ে টেস্ট দলের কোচের দায়িত্বও দেওয়া হবে আকিবকেই। অথচ কিছুদিন আগেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোনো সংযোগ ছিল না তার। এই মৌসুমের শুরুতে তিনি ছিলেন শ্রীলঙ্কার পেস বোলিং কোচ। সপ্তাহ পাঁচেক আগে পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটি পুনর্গঠন করে সেখানে আনা হয় আকিবকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোয় বড় কৃতিত্ব দেওয়ায় হয় তার পরিকল্পনাকে। উল্কার মতো অগ্রযাত্রায় এখন তাকে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটের সর্বেসর্বা।

আকিব নির্বাচক কমিটিতে আসার পরই দল নির্বাচনে ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেস্পিকে। এটা নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তুষ্টির কথা জানান কোচ। এখন আকিব নিজেই আছেন এই দ্বৈত ভূমিকায়। প্রশ্ন তাই উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। মিসবাহর দ্বৈত দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা করার পুরোনো প্রসঙ্গও উঠে এলো। আকিব অবশ্য সেসব ঘটনার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে চান না। তিনি বলেন আপনি যেসব ঘটনা বললেন, সেগুলোর চেয়ে আমার ব্যাপারটি একটু ভিন্ন। মিসবাহর মতো আমি প্রধান নির্বাচক নই। নির্বাচক প্যানেলের অংশ। আমি এটাকে কোনো সমস্যা হিসেবে দেখি না। কারণ আমরা সবাই চাই এমন ক্রিকেটারদের বেছে নিতে যারা পাকিস্তানের হয়ে সেরাটা দেবে। সমালোচনা অনিবার্য এবং সেটা যৌক্তিকও হতে পারে। লোকে প্রশংসা করবে নাকি সমালোচনা, এটিও একজন ক্রিকেটারের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। দলের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। সমালোচনা ও প্রশংসা নির্ভর করবে আমাদের পারফরম্যান্সের ওপর। সমালোচনা যদি প্রাপ্য হয়, সবার আগে আমিই মেনে নেব। স্কোয়াড ও একাদশ নির্বাচনে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথাও বললেন আকিব। গিলেম্পির কথার জের ধরে সাবেক পেসার বলেন, তিনি একা কোনো সিদ্ধান্ত আগেও নেননি, এখনও নেবেন না। আমরা সবসময়ই অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে আলোচনা করি। এরপরই দল ঘোষণা করে নির্বাচক কমিটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুলতান টেস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছি আমরা। নির্বাচক কমিটির সদস্য আসাদ শাফিক ছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে। তার কাজ ছিল কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করে দল উপস্থাপন করা। যেটা নিয়ে আবার নির্বাচক কমিটি আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আকিবের দায়িত্ব শুরু হচ্ছে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে। এই সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। তবে কোচের দৃষ্টি মূলত দেশের মাঠে আগামী ফেব্রুয়ারিমার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আপাতত ওয়ানডে দল নিয়েই বেশি ভাবতে চান তিনি। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে দলকে ঢেলে সাজাতে চান নতুন করে। জিম্বাবুয়েতে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ শুরু এই রোববার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ার পোমরা সরকারি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধকেন এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিবীয়দের কাছে