সেই শিশুকাল থেকে শুরু হয় স্কুলে ভর্তিযুদ্ধ। এরপর কলেজে পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয় তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর যতদিন ফলাফল না দেয় ততদিন সেসব পরিবারের মানুষদের কিভাবে দিন কাটে তা বলা বাহুল্য। পরীক্ষা ভালো দিয়েও মনে মনে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখলেও অনেক সময় সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। আবার এমনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে একটার খারাপ রেজাল্ট শোনার পর পরদিন আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয়। তখন একমাত্র যারা বিপদে ভেঙে না পড়ে সামনে এগিয়ে যায় তারাই সফল হয়। তবে সবার মন তো এক না। অনেক ভালো ছাত্র ও দুর্বল মনের হয়। তাছাড়া তখন কোথাও কারো সঙ্গে দেখা হলে সবার শুধু একটাই জিজ্ঞাসা তোমার ছেলে/মেয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে? অথবা শিক্ষার্থীকে ও প্রতিবেশী, স্কুল কলেজের শিক্ষক, আত্মীয় পরিজনের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। পরিবার থেকে ও শুনতে হয় নানা কথা। অমুক যদি পারে তবে তুমি কেন পারলে না? নিশ্চয় ভালোভাবে প্রস্তুতি নাও নি। কিন্তু যে কোনো জায়গায় ভর্তি পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্য ও কিছুটা কাজ করে।
কারণ অনেক সময় অনেক ভালো ছাত্র ও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পরেও। তখন সে ভাগ্যকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমে সময়ক্ষেপণ করার কারণে ও শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। তবে যে কোনো শিক্ষার্থী যে কোনো জায়গায় যে কোনো বিষয় নিয়ে পড়ুক না কেন যদি তার লক্ষ্য, পরিশ্রম আর একাগ্রতা থাকে তাহলে সে জীবনে সফল হবেই। তাই শিক্ষার্থীর পরিবার, প্রতিবেশী, সমাজ সবার উচিত তার সমালোচনা না করে তাকে সহযোগিতা করা। একজন শিক্ষার্থীর পারিপার্শ্বিক অবস্থাই পারে তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।