‘সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শিক্ষকদের ভূমিকা অনন্য। শিশু মানসে সম্প্রীতির আবাদ করতে পারেন শিক্ষকরা। সারা বিশ্বে প্রবহমান আন্তঃধর্মীয় সংঘাত ও সহিংসতা প্রশমনে শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়তে হবে। সুন্দরের আরাধনা দিয়েই সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করা যায়, হিংসে-বিদ্বেষ দিয়ে নয়। কেননা মানুষ মানুষকে জয় করেছে হৃদয় দিয়ে, যুদ্ধ দিয়ে নয়।’
‘কালটিভেশন অফ সেক্যুলার মাইন্ড’ বা ‘সম্প্রীতি বুনন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্কুল পর্যায়ে পাঠদানকারী ধর্ম বিষয়ের শিক্ষকদের কর্মশালায় উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। গত শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হলে দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মনজুরুল আলম। প্রকল্পের নেতৃত্বদানকারী চবি দর্শন বিভাগের শিক্ষক মাছুম আহমেদ কর্মশালায় ধারণাপত্র তুলে ধরেন। তিনি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রকল্পের পরিচালক সনৎ কুমার বড়ুয়া ও শাসন বড়ুয়া কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে স্কুলে পঠিত পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণিতে পাঠ্য ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের গ্রন্থসমূহের ওপর গবেষণালব্ধ আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসম্প্রীতিময় বক্তব্যের নির্যাস উপস্থাপন করেন প্রকল্পের গবেষণা সহকারী গোলাম রাব্বানী ইমার ও কাজী তৌফিকা ইসলাম।
প্রকল্পের গবেষণা সহকারী মুক্তা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন গবেষণা সহকারী প্রার্থী ঘোষ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহের। কর্মশালায় নগরী ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার ৩৫ জন স্কুলশিক্ষক তাদের মতামত তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নেটওয়ার্ক ফর রেলিজিয়াস অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্সসহ কয়েকটি সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সম্প্রীতি বুনন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পটি চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।