জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বারবার রক্ত পাল্টিয়ে ব্লাড ক্যান্সার রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। যে বোনম্যারো (অস্থিমজ্জা) নষ্ট হয়েছে, সেটা প্রতিস্থাপন করতে হয়। তিনি বলেন, এখন আমাদের সমাজের বোনম্যারোতে হাত দিতে হবে। একটা নতুন ব্যবস্থার দরকার, যে নতুন ব্যবস্থার জন্য আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় বুক পেতে দিয়েছিল।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমিরে জামায়াত এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সম্পদ শোষণ করে অত্যন্ত সুচতুরভাবে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। ২৬ লাখ কোটি টাকার পাচার করেছে বলে এখন পর্যন্ত হিসাব পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশের বাজেটের ৫ গুণ। এই টাকা রাস্তার ভিক্ষুক থেকে শুরু করে ১৮ কোটি মানুষের। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক চুরি করেছে। সমস্ত কমার্শিয়াল ও ইসলামি ব্যাংক চুরি করেছে। নন ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর ফোকলা করে দিয়েছে। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি সামান্যতম ভালোবাসা থাকলে জাতির প্রতি এমন নির্দয় আচরণ তারা করতে পারত না।
জামায়াত আমির বলেন, তারা শুধু শারীরিকভাবেই মানুষকে আঘাত দেয়নি, শুধু মানুষের মান–ইজ্জত নিয়েই টানাটানি করেনি, মানুষের রিজিক নিয়েও টানাটানি করেছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, একজন বলতেন আমি ওমুকের মেয়ে, পালাবো না। আরেকজন বলতেন, পালাবো কোথায়, তোমার বাড়ি চলে যাব। মানুষকে নিয়ে উপহাস করতেন। এখন তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম, এ জাতি হয়তো নাজাত পেয়েছে। তাদের যন্ত্রণা ও জুলুমের হাত থেকে হয়তো রেহাই পেয়েছে। কিন্তু তারা পালিয়ে গিয়েও এদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। আজকে এই কাণ্ড, কালকে ওই কাণ্ড করে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যদি জাতির মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য থাকে, তাহলে তাদের সকল ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হবে।