নানা সন্দেহ, অবিশ্বাস ও জল্পনা–কল্পনার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে নির্বাচিত এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় নবনির্বাচিত অন্যদের সঙ্গে তিনিও দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে (১ নম্বর হল রুম) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকন ও তার সমর্থকদের এক মতবিনিময় সভা হয়, যেখানে তার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে ভোট হয়। ৯ মার্চ গভীর রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা উপ–কমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়ের।
নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল) থেকে সভাপতি পদে খোকন এবং সদস্য পদে সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বিজয়ী হন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল) থেকে বিজয়ী হন সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহ–সভাপতি রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহ–সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। একই প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয় পান মো. বেলাল হোসেন শাহীন, খালেদ মোশাররফ রিপন, মো. রায়হান রনি ও রাশেদুল হক খোকন।
নানা ঘটনার মধ্যে শেষ হওয়া নির্বাচন না মেনে বিএনপি সমর্থিতরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেন। এক পর্যায়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নীল প্যানেল থেকে নির্বাচিতদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করতে নিষেধও করেছিল।
গত ২৭ মার্চ দেওয়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের (বিএনপির বিজয়ী চারজন) নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে।