সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অপ্রত্যাশিত সিরিজ হারের পর পাকিস্তানের কাছেও হেরে বসেছে প্রথম ম্যাচে। হারের বৃত্ত থেকে যেন বের হতে পারছে না বাংলাদেশ দল। হার দিয়ে শুরু করা সিরিজে আজ সমতা ফেরানোর লড়াই বাংলাদেশের। সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই টাইগারদের। মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে । বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে। সরাসরি সমপ্রচার করবে টি স্পোর্টস। প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে পরাজয়ের পর তিন ম্যাচের সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মাসের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২–১ ব্যবধানের হতাশাজনক সিরিজ পরাজয়ের পর সব ভুল শুধরে ছোট ফর্মেটের এই ক্রিকেটে ফিরে আসার প্রত্যয় নিয়ে পাকিস্তানে খেলতে এসেছে টাইগাররা। কিন্তু তিন বিভাগেই ব্যর্থতার জেড়ে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেতে হয়েছে সফরকারীদের। যদিও সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুতেই পাকিস্তানকে কিছুটা ধাক্কা দিলেও বাংলাদেশের বোলাররা সেই ছন্দ শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা পাকিস্তানী পেসার হাসান আলি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৩০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তাতে সিরিজে ফিরে আসার ব্যপারে তেমন কোন আশা দেখা যাচ্ছে না।
যদিও অধিনায়ক লিটন দাস হতাশা ভুলে ফিরে আসার ব্যপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রথম ম্যাচ শেষে লিটন বলেছেন পুরো ম্যাচে আমরা বোলিং, ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং, কোন বিভাগেই ভাল করতে পারিনি। আমি সেসব নিয়ে কিছু বলবো না। তবে আমাদের শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। শুধুমাত্র ব্যাটিং, বোলিং নয়, টি–টোয়েন্টিত ফিল্ডিংয়েও ভাল করা জরুরি। পুরো ম্যাচে আমরা সেটাও করতে পারিনি। এই পিচে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব। কারন আউটফিল্ড অনেক ফাস্ট। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটও পুরোপুরি সহায়ক। ম্যাচের শুরুতেই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে হারানোর পরও বাংলাদেশ দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিল। বিশেষ করে লিটন ব্যাটিংয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে কভার ড্রাইভ চালিয়ে বোলারদের বিভ্রান্ত করে তোলেন, অন্যদিকে তানজিদ তামিম সাহসী ছিলেন, ইচ্ছামত ছক্কা মারছিলেন। তানজিদের আউটের পর তাওহিদ হৃদয় যদিও ম্যাচ কিছুটা ধীর করে দেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে লিটন ঠিকই রানের চাকা সচল রাখেন। তবে লিটন সাজঘরে ফেরার পর বাংলাদেশ ৬৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে। মিডল ওভারে ব্যাটারদের আরো দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে বলে লিটন বলেছেন। জাকের আলি অনিক ছাড়া মিডল অর্ডারে আর কেউই নিজেকে প্রমান করতে পারেননি। লিটন বলেন ইনিংসের মাঝামাঝিতে আমরা ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি। কিন্তু এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জাকের আলি গত এক বছর ধরে আসলেই ভাল খেলছে। এই মুহূর্তে মিডল অর্ডারে সেই আমাদের মূল খেলোয়াড়। কিন্তু কোন একজন খেলোয়াড় ম্যাচ জেতাতে পারেনা। সবাইকে দলীয় জয়ে অবদান রাখতে হবে। মানসিক ভাবে আমাদের বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। আমি মনে করি ক্রিকেট শুধুমাত্র অনুশীলনের বিষয় নয়, এটাকে অনুধাবন করতে হবে। সবাইকে একসাথে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।