সমকালের দর্পণ

অধ্যাপক খালেদ-স্মৃতি অমলিন

মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম (অব.) | রবিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

সব মানুষকে নিয়ে নয় হয়ত কিছু ব্যতিক্রমী মানুষকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ”। পৃথিবীতে কোন মানুষ কীর্তিমান হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। জন্মের পর মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে নিজেকে ক্রমান্বয়ে কীর্তিমান হিসাবে নির্মাণ করেন। বিপরীত স্রোতে প্রবল আস্থায় সাঁতার কাটেন, সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে অভীষ্ট তীরে পৌঁছান। কিছু মানুষ জীবনে ঝড় ঝাপটা, খরা দারিদ্র, অনিশ্চয়তা দুঃখ দুর্দশাকে স্বীয় প্রত্যয়ে অবলীলায় অতিক্রম করে যান। এক সময় এইসব মানুষেরা নিজের অর্জনে নিজের কীর্তির চেয়ে মহৎ হয়ে উঠেন। অধ্যাপক খালেদ আমার কাছে এমনই একজন।

অধ্যাপক খালেদের সাথে আমার পরিচয় আমার শৈশবে। তিনি তখন সফেদ দাড়ি পাঞ্জাবী পায়জামা, চোখে পুরো চশমা কথার ফাঁকে ফাঁকে অনাবিল হাসি ছড়ানো একজন। অধ্যাপক খালেদ এর সাথে আমার পরিচয় সূত্র আমার বড় ভাই অধ্যাপক লোকমান হাকিম। আমার বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখার পাঠ শেষ করে চট্টগ্রাম ফিরে এসে চট্টগ্রামের দুটি কলেজ বর্তমান সরকারি সিটি কলেজ এবং এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে অধ্যাপনায় যোগদান করেন। তিনি সিটি কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান এবং এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে অংকশাস্ত্র পড়াতেন। এই শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপক খালেদ ্‌এর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এই সখ্যতায় সে সময় আরো যারা জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে বাবু সাধন ধর, জনাব জাকারিয়া চৌধুরী, ডা. হরিপদ পালিত, জনাব নুরুল আলম মাষ্টার এবং জনাব মোফাচ্ছেল আহম্মদ চৌধুরী অন্যতম। নিঃসন্দেহে এই সখ্য এবং সেই সূত্রে আলোচনা চক্রে মধ্যমণি ছিলেন অধ্যাপক খালেদ।

আমি যখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র তখন মুক্তিযুদ্ধের সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত বিজয়মেলা উৎসবের এক রচনা প্রতিযোগিতায় আমি প্রথম হই। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চে ঐ রচনা আমাকে পাঠ করতে হয়। অধ্যাপক খালেদ বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীসহ মঞ্চে অভ্যাগত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। কয়েক হাজার শ্রোতার সামনে সে রচনা পাঠ আমার জীবনে এক রোমাঞ্চকর স্মৃতি। রচনাপাঠ শেষ হতে খালেদ সাহেব আমাকে কাছে ডেকে নেন, প্রশংসাসূচক কিছু কথাবার্তার পর তিনি লেখাটা চেয়ে নেন।

কয়েকদিন যেতে আমাকে বিপুল বিস্মিত করে আমার রচনা প্রতিযোগিতার সে লেখা দৈনিক আজাদীতে প্রথম কিস্তি বের হয়। জীবনের প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা তাও আবার উপ সম্পাদকীয় কলাম, একে দেখাই ওকে দেখাই যেন আনন্দের আর সীমা নাই। পর পর তিন কিস্তিতে সম্পাদক অধ্যাপক খালেদের স্নেহধন্য হয়ে আমার লেখা আজাদীতে প্রকাশিত হয়। এটি কখনো ভুলার মত নয়।

সেই থেকে অধ্যাপক খালেদের সাথে আমার এক ধরনের হার্দিক সম্পর্কের যাত্রা। এ যাত্রা মননশীল আদান প্রদান, শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় ব্যাপ্তি লাভ করেছে কেবলি। অধ্যাপক খালেদের সাথে আমার এই স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে আমিই লাভবান হয়েছি বিপুলভাবে। যেমন তার একেবারে নিরহংকার চালচলন, মানুষের প্রতি ভেদাভেদহীন আচরণ এবং সম্মানবোধ, উদ্ভূত যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে স্থির রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আমাকে প্রভাবিত করেছে নিঃসন্দেহে।

ব্যক্তিগত জীবনে দুটি বিষয়ে অধ্যাপক খালেদ আমাকে কৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ করেছেন যা অপরিশোধ্য। প্রথম ঘটনা। আমি এস এস সি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে উত্তীর্ণ হই। এই ফলাফলের সূত্র ধরে শুভানুধ্যায়ী এবং আমার পরিবারের কেউ কেউ আমাকে এইচ এস সি তে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে উৎসাহ দিতে থাকেন। উৎসাহের আতিশয্যে আমি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। অনেক সাধ্য সাধনা কাঠখড় পুড়িয়ে রসায়নের নানা চেইন রিয়েকশান, পদার্থ বিদ্যার নানা তত্ত্ব, অংকশাস্ত্রের ঘোরালো অনেক থিউরি সমাধান আত্মস্ত করে এইচ এস সি তে মান সম্মান নিয়ে আমি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই। এবার আমাকে ডাক্তার হতে হবে, এটি মায়েরও একান্ত ইচ্ছা ছিল, কারণ আমার মায়ের পিঠাপিঠি ভাই অত্যন্ত বিখ্যাত ডাক্তার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি গোল্ড মেডালিস্ট। আমার এই মামা ড. সুলতান স্কুল জীবনে আবার অধ্যাপক খালেদের সহপাঠী ছিলেন।

পরিবারের সবার ইচ্ছায় আমি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য মৌখিক পরীক্ষা দিই। চট্টগ্রাম মেডিকেলের ‘ভাইভা বোর্ড’ আমাকে জীববিদ্যা থেকে দুটি ছোট ছোট প্রশ্ন করেন। আমি দুটি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিই। এবার আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নিশ্চিত উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেলে পড়ার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকি। পরীক্ষার ফলাফল বের হলে দেখা যায় আমার রোল নাম্বার উত্তীর্ণদের তালিকায় নাই।

পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণের কষ্ট, মায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারার বেদনা আমাকে পেয়ে বসে। সিদ্ধান্ত নিই আমার আর পড়ালেখার প্রয়োজন নাই। বাবার খামার বাড়ি আছে, ক্ষেত খামারে কাজ কর্ম করে নিরুপদ্রপ একটি জীবন হবে আমার। সে অনুযায়ীই আমার দিন কেটে যাচ্ছিল। এর মাঝে রাউজান নিজামুদ্দিন পাবলিক হলের একটি অনুষ্ঠানে গেলে, অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক খালেদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়, তিনি আমাকে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে পড়া লেখার অবস্থা জানতে চান। আমি সংক্ষেপে আমার সিদ্ধান্ত উনাকে জানাই। তিনি অন্য কোন আলাপে না গিয়ে আমাকে সময় করে একদিন উনার বাসায় যেতে বলেন। এক বিকেলে আমি উনার বাসায় যাই। এটা সেটা নানা আলাপের ফাঁকে আমাকে চা নাস্তায় আপ্যায়ন করা হয়। কুণ্ঠিত আমি খালেদ সাহেব কেন ডেকেছেন তা জানতে মনে মনে অপেক্ষায়। এবার তিনি কেন জানি না এক অমায়িক হাসি হেসে আমাকে প্রশ্ন করেন পড়া লেখা না করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? একটা ছেলে যে এস এস সি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে উত্তীর্ণ হয় আবার এইচ এস সি তে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়, সে ছেলে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ‘ভাইভা বোর্ড’এর জীববিদ্যা থেকে দুটি ছোট ছোট প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও যখন অনুত্তীর্ণ হয় তার পড়া লেখা করার আর কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। খালেদ সাহেব সেদিন বেশ কিছু সময় নিশ্চুপ বসে ছিলেন। সন্ধ্যা হয় হয় উনি বাসার ভিতরে যান। পায়জামা পাঞ্জাবি পড়ে তৈরী হয়ে আসেন, আমাকে বলেন চলেন বাইরে একটু হাঁটতে যাব। এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। ছেলের বয়সী একজনের সাথে অমন মননশীল প্রথিতযশা এক সম্পাদক, সাংসদ, আমাদের সংবিধান রচনার অন্যতম একজন যাকে চিনেন না চট্টগ্রামে এমন মানুষ নাই তার সাথে আমি হেঁটে বেড়াতে যাচ্ছি। সে অনেক পথ। দেওয়ান বাজার থেকে গুডস হিলকে ডানে রেখে, আসকার দিঘির পাড় হয়ে কাজীর দেউড়ি থেকে বামে মোড় নিয়ে সাহিত্য কুঠির, জনাব আবুল ফজলের বাড়ি। জনাব খালেদের পিছু পিছু ‘সাহিত্য কুঠির’ এর দোতলায় গিয়ে ড্রইং রুমে বসি। কয়েক মিনিটের মধ্যে দরবেশ দর্শন জনাব আবুল ফজল এসে হাজির। জনাব আবুল ফজলকে আমি আগে কখনো চাক্ষুষ দেখিনি। জনাব খালেদ সাহেবের বদান্যতায় আমার এই বিদগ্ধ পণ্ডিত জনকে দেখার সৌভাগ্য হয়। দুই দিকপালের মধ্যে আমি অসহায়বোধ করতে থাকি। নানা বিষয় নিয়ে দুইজনের বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা চলতে থাকে। আমি নীরব আড়ষ্ট শ্রোতা। দুজনের আলোচনার এক পর্যায়ে আমাকে একেবারে অপ্রস্ত্তুত করে খালেদ সাহেব আবুল ফজল সাহেবের সাথে আমার এস এস সি এবং এইচ এস সি তে অর্জিত ফলাফল নিয়ে আলোচনা শুরু করে আমার লেখা পড়ার প্রতি চলমান অনীহার কথা জানান। দুজন তখন আমাকে তাদের দুজনের চাওয়া, না পাওয়ার নানা উদাহরণ তুলে ধরে তাই বলে জীবন যে থেমে থাকে না তা বুঝিয়ে পড়া লেখা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিতে থাকেন। পরিত্রাণ পেতে আমি বললাম এখন কোথাও ভর্তি হওয়ার সময় নাই, আমার এইচ এস সি পাশের তখন প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেছে। অমন পণ্ডিতজন মনীষী আবুল ফজল সাহেব আমাকে বললেন “কাল তুমি আমার অফিসে আসবে”। আবুল ফজল সাহেব তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। মাথায় নানা অগোছালো চিন্তার বোঝা নিয়ে পরদিন আমি আবুল ফজল সাহেবর অফিসে যাই। উনার পিএসকে আমার উপস্থিতির কথা জানাতে অনুরোধ করি। সামান্য কালক্ষেপণও না করে তিনি আমাকে ডেকে পাঠান। উপাচার্য মহোদয় আমাকে বসতে বলেন। আমি সামনে পেতে রাখা আসনে বসতেই তিনি আমাকে স্নেহ মাখা কণ্ঠে জানতে চান, কোন সাবজেক্টে আমি পড়তে চাই, আমি ইতস্তত করি। জনাব আবুল ফজল তখন নিজ থেকে বলেন “তুমি অর্থনীতিতে ভর্তি হয়ে যাও”। তিনি তার টেবিলে রাখা সাদা স্লিপ প্যাডে কিছু লিখে দিয়ে আমাকে অর্থনীতি বিভাগে যেতে বলেন। উপাচার্যের অফিস থেকে বের হয়ে আমি আবুল ফজল সাহেবর স্লিপ প্যাডে লেখাটি পড়ি “সিকান্দার, ছেলেটিকে ভর্তি করে নিলে আমি খুশি হব”। এই লেখাটি আমি উপাচার্যের অফিস থেকে কলা ভবনের অর্থনীতি বিভাগে পৌঁছা পর্যন্ত বার বার পড়ি।

অর্থনীতি বিভাগের চেয়্যারম্যান তখন অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। পরবর্তীতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সুর্দীঘকালীন উপাচার্য, সততা, ন্যায় নীতি এবং জ্ঞান তপস্যার এক অন্যন ব্যক্তিত্ব। স্লিপটি বার্তাবাহককে দিয়ে অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান সাহেবের কাছে পৌঁছাতে অনুরোধ করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অধ্যাপক সিকান্দার খান আমাকে ডেকে নেন। উনার স্ত্রী সৈয়দা তাহেরা বেগম তখন একই বিভাগের শিক্ষক। অধ্যাপক সিকান্দার খান উনার স্ত্রীকে আমার একটি ভর্ত্তি পরীক্ষা নিতে বলেন। তিনি সাদা কয়েকটি ফুলস্কেপ কাগজ আর একটি পেন্সিল সামনে দিয়ে আমাকে আগে প্রশ্নগুলি লিখে নিতে বলেন। আমি উনার বলা প্রশ্নগুলি লিখে উত্তর লিখে উনাকে জমা দিই। আমার উত্তর পত্র নিয়ে সৈয়দা তাহেরা বেগম অধ্যাপক সিকান্দার খান’এর কাছে যান। মিনিট বিশেক পরে অধ্যাপক সিকান্দার খান আমাকে ডেকে পাঠান। উনার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই, তিনি আমাকে পরদিন আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সেরে ভর্তি হয়ে যেতে বলেন।

আমার জীবনে অধ্যাপক খালেদের সাথে দ্বিতীয় ঘটনা। ইতিমধ্যে আমার সেনাবাহিনীতে যোগদানের বেশ কিছু বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমি ছুটিতে আসলে জানতে পারি খালেদ সাহেব উনার অসুস্থ বড় ছেলেকে নিয়ে চেরাগী পাহাড়ের মোড়স্থ সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতালে অবস্থান করছেন। আমি উনার ছেলের অবস্থা এবং কুশলাদি জানার জন্য সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতালে যাই।

কুশল বিনিময়ের পর আমার চাকরি জীবনের নানা অভিজ্ঞতা আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি তার অবয়ব জুড়ে স্মিত হাসি ছড়িয়ে আমাকে রীতিমত অবাক করে বলেন, আপনাকে একটি অনুরোধ করব রাখবেন। আমি কী উত্তর দেব অধ্যাপক খালেদ এবং আজাদী সম্পাদক আমাকে বলছেন তিনি একটি অনুরোধ করবেন আমি রাখব কিনা! বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে আমি বলি বলুন সম্ভব হলে আমি সর্বান্তকরণে চেষ্টা করব। আলতোভাবে আমার কাঁধে হাত রেখে তিনি বলেন, আপনি লেখালেখি করেন। আমি উত্তরে বলি, সেনাবাহিনীতে থেকে লেখালেখি করা সম্ভব নয়, এখানে লেখা ছাপাতে অনুমতি লাগে। খালেদ সাহেব নাছোড়বান্দা আমাকে উপদেশ দেন তাহলে ডাইরি লিখতে থাকেন, যখন সেনাবাহিনীতে থাকবেন না তখন ছাপাবেন। সেই থেকে আমার ডাইরি লেখা শুরু। দেখতে দেখতে অনেকগুলো ছোট গল্প লেখা হয়ে যায়। একসময় সামরিক জীবন ছেড়ে আসি। ঐ সব ছোট গল্প থেকে বাছাই করে আটাশটি গল্প নিয়ে আমার প্রথম বই “খরস্নায়ূ” প্রকাশিত হয়। প্রথম বছরেই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ। তারপর একে একে প্রকাশিত হয় “শেষ সীমান্তের পর কোথায় যাব আমরা” “বিষাদ সময়” ‘রোহিঙ্গানিঃসঙ্গ নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী’ “মানুষ খেকোদের সাথে জঙ্গল জীবন” “দূরের পথিক” “অশ্রু” ইত্যাদি। মাঝে মাঝে এইসব বইয়ের পাতা উল্টাই আনমনে, প্রতি পাতায় যেন অধ্যাপক খালেদের হাসিমুখ, আনন্দে তিনি যেন বলে উঠেন “আমার কথা রেখেছেন”। প্রায় রাতে পড়তে বসি, পৃথিবীর নানা জাতের নানা বিষয়ের উপর, এখানেও অধ্যাপক খালেদের হাসিমুখ, “কি পড়বেন না বলেছিলেন এখন তো রাত জেগেও পড়ছেন। এভাবেই অধ্যাপক খালেদের সাথে আমার লেনদেন।

লেখক: প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট; সামরিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ : মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রচিন্তা ও বিবেকের রাজনীতি
পরবর্তী নিবন্ধযাতায়াত উপযোগী করা হল সংযোগ সড়ক ছাড়াই নির্মিত সেই ব্রিজ