সমকালের দর্পণ

পাকিস্তানে যা হয়েছে এবং হতে যাচ্ছে

মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম (অব.) | রবিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

অভিবক্ত ভারতবর্ষ বা পরবর্তীতে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত আমাদের এই অঞ্চলের মানুষরাও পাকিস্তানীদের সাথে রাজনৈতিকভাবে সম্পর্কিত ছিলাম। এই সূত্রে পাকিস্তানী ক্ষমতাসীন নেতাদের বার বার তাদের জনগণের সাথে প্রায় সব সময় ছল চাতুরী বা স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বিষয়টি আমাদের বহুবার বহুভাবে নাড়া দিয়েছে।

একটু পিছন ফিরে চোখ বুলালে ইতিহাস তার পাতায় পাতায় এই ছল চাতুরী বা স্বৈরাচারী আচরণের সাক্ষী দেবে। ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে নানা নোংরা খেলায় জড়িয়েছে পাকিস্তানের ইতিহাসের খলনায়করা। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গর্ভনর জেনারেল হিসাবে শপথ নেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। যাত্রার শুরুতেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পাকিস্তান তাদের এ দু জাতীয় নেতাকে হারান। ১৯৪৮ সালে জিন্নাহ রোগাক্রান্ত হয়ে আর লিয়াকাত আলী খান ১৬ অক্টোবর ১৯৫১ সালে আততায়ীর গুলিতে। তাদের তিরোধানের পরপরই শুরু হয় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা। ১৯৫১ সালে পাকিস্তানে প্রথম সামরিক ক্যু এর চেষ্টা করা হয়। এ ক্যু প্রচেষ্টায় নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আকবর খান। ক্যু ব্যর্থ করে দেন জেনারেল শহীদ হামিদ। ১৬ অক্টোবর ৫৪ নাওয়াবজাদা লিয়াকাত আলী খান নিহত হলে ১৭ অক্টোবর খাজা নাজিমুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই গর্ভনর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদখাজা নাজিমুদ্দিনকে বরখাস্ত এবং জাতীয় পরিষদ বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। যদিও জাতীয় পরিষদ বাতিল করনে মন্ত্রীসভার পরামর্শ গ্রহণ ছিল বাধ্যতামূলক। গোলাম মোহাম্মদ এর পরোয়া করেননি। কারণও আছে সেনাবাহিনী এবং আদালত সংবিধানের পক্ষ না নিয়ে সেদিন গভর্নর জেনারেলের পক্ষ নিয়েছিল। এই থেকে হয়ত পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার মরণ যাত্রা শুরু।

এই যাত্রায় প্রথম পদক্ষেপটি নেন জেনারেল ইসকান্দর মির্জা। ২৩ মার্চ ১৯৫৬ গোলাম মোহাম্মদকে হটিয়ে তিনি গভর্নর জেনারেল হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। স্বরূপে সামরিক শাসনের আভির্বাব ঘটে এদিন থেকে। ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ জেনারেল ইস্কান্দর র্মিজা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন। এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় ২৭ অক্টোবর ১৯৫৮ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চীপ ফিল্ড র্মাশাল আইয়ুব খান এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেন। অবশেষে ২৬ মার্চ ১৯৭০ সালে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব গণআন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে জয়লাভ করে। সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করেন। ক্ষমতা হস্তান্তরে এ গড়িমসির পরিণামে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর জন্য এক চরম বিপর্যয় ডেকে আনে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, ৯৩০০০ পাকিস্তানী সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ক্ষমতার মঞ্চ থেকে দৃশ্যান্তরে যায়। এবার রঙ্গমঞ্চে জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৪ আগস্ট ১৯৭৩ ভুট্টো প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি রেখে পাকিস্তানের জন্য একটি ওয়েস্টমিনিস্টার ধরনের সংবিধান প্রণয়ন করেন।

৫ জুলাই ১৯৭৭ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী পুনরায় স্বরূপে ক্ষমতার রঙ্গমঞ্চে ফিরে আসে। ভুট্টোকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউল হক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন। জিয়া সর্বময় ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেননি। পথের কাঁটা দূর করতে ৪ এপ্রিল ১৯৮৯ সালে ভুট্টোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন। জেনারেল জিয়া বেশ কিছুদিন পাকিস্তানের ক্ষমতার লাগাম ধরে রাখতে সর্মথ হন। পাকিস্তানী রাজনীতির ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল তাকেও ছাড়েনি। ১৭ আগষ্ট ১৯৮৮ বিমান দুর্ঘটনায় জেনারেল জিয়া নিহত হন। ১৬ নভেম্বর ১৯৮৮ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভুট্টোর জনপ্রিয়তার উপর ভর করে তার মেয়ে বেনজির ভুট্টো বিপুল ভোটে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এভাবেই ক্ষমতার পালাবদল চলতে থাকে। কখনো বেনজির কখনো নাওয়াজ শরীফ কখনো জেনারেল পারভেজ মোশারফ কখনো ইউসুফ রাজা গিলানী। রাজা আসে রাজা যায় ক্ষমতার ভরকেন্দ্র সব সময়ই সামরিক ছাউনীতে রয়ে যায়। ক্ষমতা ভরকেন্দ্রের বিশাল ব্যাপ্তির এই বীজ পাকিস্তানের জন্মলগ্নতেই রোপিত হয়। জিন্নাহ এবং লিয়াকাত আলীর স্বাধীনতার উষালগ্নে তিরোধানের সুয়োগে বেসামরিক আমলা এবং সামরিক এলিট স্বার্থান্বেষীরা পাকিস্তানী রাজনীতিকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে কুক্ষিগত করে। সে বলয় থেকে বের হওয়ার জন্য পাকিস্তানী রাজনীতিবিদরা সময়ে সময়ে দুই একবার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। সে প্রচেষ্টা হিতে অনেক সময় বিপরীতও হয়েছে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পাশাপাশি একই সময়ের ভারতীয় রাজনীতিতে ঘটে উল্টোটি। এক সময়ের বিশ্ব ছাত্র রাজনীতির মঞ্চ কাঁপানো বামপস্থি ছাত্র নেতা তারিক আলী তার বই ‘দি নেহেরুস দি গান্ধীস এন ইন্ডিয়ান ডাইনেস্টি’তে বিষয়টি দারুণভাবে বিধৃত করেছেন। তার বয়ানে মহাত্মা গান্ধী সরকারি যেকোনও অনুষ্ঠানে বা দপ্তরে নেহেরুকে দেখিয়ে আই সি এস অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলতেন ‘জওহর ইস ফ্রম হ্যারো’। অর্থাৎ মনে রাখিও জওহর লাল নেহেরু বিশ্বখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্যারো থেকে লেখা পড়া করে এসেছে। সুতরাং তার কর্তৃত্ব বা শিক্ষা দীক্ষা সমন্ধে কারো যেন কোনও সন্দেহ না থাকে। অর্থাৎ প্রকারান্তরে আমলা এবং সামরিক এলিটদের উপর যাত্রার শুরুতেই রাজনীতিকদের ব্যাপারে এক ধরনের মনস্ত্তাত্বিক আধিপত্য বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগী হন। এর পাশাপাশি মওলানা আবুল কালাম আজাদ, . আম্বেদকার, বল্লভ ভাই পেটেল, . রাধাকৃঞ্চন, . রাজেন্দ্র প্রসাদরা তো ছিলেনই। এরা ভারতের রাজনীতিকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানে হয়েছে বিপরীত। স্বাধীনতার পর থেকেই সামরিক বেসামরিক আমলা আর সামন্ত জমিদারদের মধ্যে চলেছে ক্ষমতার ভাগাভাগি। ভাগাভাগির দাড়িপাল্লা সবসময় থেকেছে সেনা ছাউনীতে। আমি নিশ্চিত এটি পাকিস্তানের জাতীয় মানসে প্রভাব ফেলেছে বিপুলভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় সামরিক বেসামরিক আমলা আর সামন্ত জোতদাররা নিজেদের সন্তানদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্য কোন পেশায় প্রতিষ্ঠিত না করে সামরিক ছাউনী মুখি করেছেন। ফলশ্রুতিতে জন্মসূত্রে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী কতৃত্ব পরায়ন এক মনোভাব পোষন করে বেড়ে উঠেছে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর কতৃত্ববাদী এই মনোভাব পাকিস্তানের রাজনীতিকে এ পর্যন্ত সহজ পথে চলতে এবং বিকশিত হবার সুযোগ দেয়নি। তারা যখনই মনে করেছে কোন রাজনৈতিক নেতা তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্চ করতে পারে তাকেই তারা বিদায় করেছে। পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিষয়টি ধাতস্থ করে বরাবরাই সেনা ছাউনীর দিকে চোখ রেখে নিজেদের পথ চলেছেন।

ইতিমধ্যে ইমরান খানের নেতৃত্বে ২৫ এপ্রিল ১৯৯৬ সালে গঠিত হয় পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ। তেহরিকে ইনসাফ যার অর্থ ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম।

অনেক চড়াই উৎরাই পার করে ১৮ অক্টোবর ১৯১৮ সালে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন পাকিস্তানী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ইমরান খান। ইমরান শুরুতে পাকিস্তানী রাজনীতিতে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ানো শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাথে বেশ ভালোই মানিয়ে চলতে সক্ষম হন। গোল বাঁধে ইমরান যখন সামরিক বাহিনীর উপর স্বীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হন, একই সাথে তিনি আমেরিকারও বিরাগভাজন হন। এ দুয়ের মিলিত ফল ইমরানের ক্ষমতা থেকে প্রস্থান। সামরিক বাহিনীর শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই নিশ্চিত হয়ে সিনেটে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করায়। সিনেটের আস্থা ভোটে ইমরান হেরে যান। ইমরান অনেকটা ‘সুপার ওভার’ এর মুখে পড়েন। একদিকে জুলফিকার আলী ভুট্টো বেনজীর ভুট্টো ‘মি. টেন পার্সেন্ট’ খ্যাত জারদারিবিলাওয়াল এর পি পি পি নওয়াজ শরীফ শাহবাজ শরীফ মাওলানা ফজলুর এবং সামরিক বাহিনীর মদদ। অন্যদিকে ইমরান একা তার দল নিয়ে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মত ব্যাট চালাতে থাকেন ইমরান। ফিল্ডিং এ থাকা নাওয়াজবিলাওয়ালরা দিকবিদিক মাঠে কেবল দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন। এসব ফিল্ডাররা ইমরানের চার ছক্কা থামাতে ব্যর্থ হন। ইমরানের সেই ব্যাটিং এর নাম গণসংযোগ। সরকার থেকে বের হয়ে এক মুহূর্তও দেরি না করে ইমরান সোজা চলে যান সাধারণ মানুষের কাছে। লাহোর করাচি পেশোয়ার ইসলামাবাদ যেখানেই ইমরান সেখানেই লক্ষ মানুষের ভিড়। প্রকাশ্যেই আমেরিকাকে ইঙ্গিত করে ‘গোলামিনাঞ্জুর ’ শ্লোগানে শ্লোগানে ইমরান তার ঐসব বিশাল সমাবেশকে মুখরিত করে তোলেন। এভাবেই ইমরান হয়ে যান পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। ইমরানের জনপ্রিয়তা দেখে ক্ষমতায় থাকা শাহবাজ শরীফ ইমরানের বিরুদ্ধে একটির পর একটি মামলা রুজু করতে থাকেন। অবশেষে ইমরানকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।

৭ জানুয়ারী ২০২৪ নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। এর আগে ইমরানকে নানা ফন্দিতে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, শুধু এই নয় তার দল তেহরিকে ইনসাফ’কেও নির্বাচনে অবৈধ এবং এ দলের প্রতীক ব্যবহারও করতে পারবে না বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেয়। এতসব করার পর ইমরান বিরোধীরা নিশ্চিত ছিলেন কারাবন্দী ইমরানের পরাজয় নিশ্চিত। সামরিক ছাউনীতে বসে ১৯৭০ এর এয়াহিয়ার মত ২০২৪ এ জেনারেল আসিফ মুনিরও হয়ত ভেবেছিলেন ইমরান না থাকলে বাকীদের নিয়ে তিনি চোর পুলিশ খেলবেন। ইমরানের রির্ভাস সুইং এর কাছে সব কিছু ধরাশায়ী। ভোটের ফলাফলে ইমরানের স্বতন্ত্রদের জয় জয়কার।

এর পরও হাস্যকর এক ফাঁদ পাতা থাকে ইমরানের জন্য, স্বতন্ত্ররা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনও না কোন দলে যোগদান করতে হবে অন্যথায় স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই থেকে যাবেন। ইমরান এটিও কৌশলে সামাল দিয়েছেন। স্বতন্ত্ররা জামায়েতে ইসলাম এবং ওয়াহেদাতে মুসলেমিনে যোগ দিয়ে নিজেদের দল হিসাবে প্রমাণ করেছেন।

ইতিমধ্যে অদৃশ্য ইশারায় পিপিপি বিলাওয়াল আর মুসলিম লীগের নওয়াজ বৈঠক করেছেন ক্ষমতার রুটিকে দুভাগ করে অর্ধেক অর্ধেক নেবেন। সেই একই অদৃশ্যের ইশারায় রাতারাতি বিলাওয়াল এবং নওয়াজ শরীফ দুজনের ক্ষমতার প্রতি অরুচি চলে আসে। একজন ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ এবং অপরজন বাবা আসিফ জারদারীকে সামনে এগিয়ে দিয়ে নাটকের মঞ্চ থেকে সটকে পড়েছেন। এখন হয়ত ঐ একই অদৃশ্যের বদৌলতে শাহবাজ সরকার গঠন করবেন এবং দেখার বিষয় হবে সে সরকার কতদিন টিকে থাকে।

তবে একথা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনীতিকে সামন্তসামরিকদের বাইরে নিয়ে আসছেন ক্রমাগত। ইমরান পাকিস্তানের রাজনীতিকে একটি সৃষ্টিশীল নৈতিকতার ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। ইমরানের এই কঠিন যাত্রায় পাকিস্তানী সাধারণ মানুষরাই তার শক্তি কেন্দ্র। পাকিস্তানী গণমানুষদের এ নব যাত্রায় তাদের জন্য সামনে রয়েছে আরো কঠিন অগ্নি পরীক্ষা।

লেখক: সামরিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্মরণে পরাণ রহমান
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে