সমকালের দর্পণ

আলো-আঁধারের গল্প

মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম (অব.) | রবিবার , ২৮ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আজকের লেখাটির শিরোনাম আলোআঁধার এর গল্প। এ লোখাটির শিরোনাম আনন্দবেদনার কাব্যও হতে পারত! বেশ কিছুদিন ধরে কেমন জানি এক রোমশ দৈত্য আমাদের দেশের নানা ক্ষেত্রে বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে এক সর্বগ্রাসী থাবা বিস্তার করে চলেছে। এ দৈত্য প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যাংক খাত, পুঁজি বাজার, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন র্স্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ দৈত্যের নাম দুর্নীতি। এ দুর্নীতির দৈত্য আজ আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো, রাজনীতির অঙ্গন, সমাজ ব্যবস্থা সব কিছুকে এক অমানিশার আঁধারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি দুর্নীতির এই দৈত্যদের নিয়ে নানা উপহাসে মত্ত। এইসব উপহাস মত্ততায় কেউ কেউ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার দিকে ইঙ্গিত করছেন, কেউ কেউ সমাজ সংস্কৃতি রসাতলে যাওয়ার জন্য হা হুতাস করছেন। রাজনীতিবিদরাও বসে নেই তারাও বলে যাচ্ছেন দুর্নীতিকে আর কোনও ছাড় নয়। দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আমি ইতিপূর্বে এই কলামে, দুর্নীতির আত্মানুসন্ধান শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। এখন পি এস সি’র গাড়ি চালক “আবেদ আলী”র বয়ান শুনে মনে হচ্ছে দুর্নীতি ধর্মীয় নীতি আদর্শের বুকেও কুড়াল মারতে উদ্যত হয়েছে। না হলে পি এস সি’র গাড়ি চালক কী করে বলেন “পি এস সি”র প্রশ্ন ফাঁস করে যা কামইছি তা আল্লাহ’র রাস্তায় খরচ করেছি”। কী অবলীলায় দুর্বৃত্তায়নের কী সাফাই!

দুর্বৃত্তায়নের অন্ধকারে বসে আমাদের দেশে কত আবেদ আলী যে কত কু কাণ্ড করে বসে আছে তা ধীরে ধীরে আলো ফেলে জাতির সামনে হাজির করা হচ্ছে। এ দৃশ্যপটগুলি বেদনার। বেদনার কারণ এদেরও সন্তান সন্ত্ততি আছে, আত্মীয় পরিজন আছে তাদের এখনকার অবস্থা বিবেচনায় নিলে আমার কাছে “বেনজীর” “পানি জাহাঙ্গীর” “ছাগল মতিউর” বা ইতিপূর্বের “পি কে হালদার”দের কাণ্ডকীর্তি এক নিকষ কালো অন্ধকারের গল্পই শুধু নয় তা বেদনারও বটে।

বেদনার এমন এক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমি আমার পাঠকদের জন্য কিছু মহৎ ধর্মীয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনুকরণীয় গল্প তুলে ধরব। এসব গল্পের কোনও কোনওটি হয়ত পাঠকদের জানা আছে অথবা বহুবার শুনা হয়েছে। পুনঃরাবৃত্তি হলেও তবু এ লেখা আগামীর কোনও মতিউর বা বেনজীর বা আবেদ আলী হতে যাওয়া কাউকে যেন নিবৃত্ত করে সে আশায় লেখা।

এবার আলোর গল্প।

খলিফাতুল মুসলেমিন, সারা মুসলিম জাহানের শাসক হযরত উমর (.), তার সন্তানদের ঈদের জামা কেনার অর্থ নাই। অর্থমন্ত্রী হযরত আবু ওবায়দার কাছে এক মাসের অগ্রিম বেতন চেয়ে দরখাস্ত পাঠালেন। চিঠি পেয়ে আবু ওবায়দা অঝোরে চোখের জল ফেলেছেন, কিন্ত্তু অগ্রিম অর্থ না দিয়ে দরখাস্তে লিখলেন “অর্থ মঞ্জুরের আগে খলিফফাতুল মুসলেমিনকে দুটি বিষয়ে নিঃশ্চয়তার প্রত্যয়ন দিতে হবে, প্রথমত আপনি আগামী এক মাস বেঁচে থাকবেন কিনা? দ্বিতীয় বেঁচে থাকলেও আগামী এক মাস সাধারণ মানুষ আপনাকে ক্ষমতায় রাখবে কিনা?”। দরখাস্তের সাথে দেওয়া শর্তগুলি পাঠ করে হযরত উমর (.) হয়রত আবু ওবায়দার জন্য দুহাত ভরে দোয়া করেন।

ইমাম গাজ্জালী (.) আধ্যাত্মিক জগতের প্রবাদ পুরুষ। কিমিয়ায়ে সা’দাত ইমাম গাজ্জালী (.)’র সুবিখ্যাত কিতাব। এই কিতাবের এক জায়গায় মানুষের হক বুঝাতে তিনি একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ঘটনাটি এরকম। তিন ব্যক্তি। একসময় তারা বিত্তহীন ছিলেন। তিনজনই কালের পরিক্রমায় বিত্তবানে পরিণত হন। তারা বিত্তহীন থেকে বিত্তবানে পরিণত হওয়ার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তীর্থ যাত্রার সিদ্ধান্ত নেন।

তীর্থের উদ্দেশ্যে একদিন তিনজন ঘর থেকে বের হন। যাত্রা পথে একসময় সন্ধ্যা নেমে আসে। তারা পাহাড়ের এক গুহায় রাত যাপনের মনস্থির করে সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে প্রচণ্ড মরু ঝড় শুরু হয়। ঐ ঝড়ে প্রকাণ্ড এক পাথর খণ্ড গড়িয়ে সেই গুহার মুখ বন্ধ করে দেয়। রাত শেষে দিনের আলো ফুটে। গুহায় আশ্রিত তিন মুসাফির আলোর দেখা পান না। সময় গড়াতে তারা বিপদ আঁচ করেন। তারা গুহায় আটকা পড়েছেন। এখান থেকে উদ্ধারের পথ কী? দুনিয়ার কোনও মানুষ ত জানে না যে তারা গুহায় আটকা পড়েছেন, জানেন শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তারা সিদ্ধান্ত নেন আল্লাহ’র কাছে মুশকিল আহছানের জন্য ফরিয়াদ করবেন। এখন কি বলে ফরিয়াদ করবেন। ঠিক হল তারা দুনিয়াতে যা ভালো কাজ করেছেন তার উল্লেখ করে বিনিময়ে তাদের বিপদ থেকে মুক্তি চাইবেন। এখন কে কী ভালো কাজ করেছেন তা চিন্তা ভাবনা করে প্রথম জন শুরু করেন, “হে আল্লাহ আমি আর আমার প্রেমিকা অন্ধকার রাতে নির্জনে থাকার পরও কোন পাপাচারে নিজেদের লিপ্ত করিনি শুধু তোমার ভয়ে, আমার বিশ্বাস ছিল সেই অন্ধকারে আমাদের কেউ না দেখলেও তুমি সব দেখছ, আজও এই অন্ধকারে আমরা যে এখানে আছি কেউ না দেখলেও তুমি তো জান। দয়া করে আমাদের এই অন্ধকার থেকে মুক্ত করে দাও”। পাথর একটু ফাঁক হয় কিন্ত্তু সেটি তাদের বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।

এবার দ্বিতীয় জন “হে আল্লাহ আমি যখন গরীব ছিলাম, আমার ঘরে খাবার ছিল না। আমার বাবা মা স্ত্রী সন্তান অভুক্ত। সারাদিন শেষে আমি কাজ পাই, কাজের পারিশ্রমিক যা পাই তা দিয়ে রুটি আর খেজুর কিনে ঘরে ফিরে দেখি আমার বাবা মা অভুক্ত ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার বাবা মা’র ঘুম না ভাঙা পর্যন্ত না খেয়ে আমি আর আমার স্ত্রী অপেক্ষায় থাকি, তাদের ঘুম ভাঙলে আমরা একসাথে খাই। সেদিন হে আল্লাহ আমি তোমার হুকূম পালন করেছিলাম, তুমি বলেছ মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত, বাবার দিকে কপাল কুঞ্চন করে তাকালেও আমি সেই সন্তানকে মাফ করব না”। সেদিন আমি যদি তোমার হুকুম পালন করে ভালো কাজ করে থাকি তাহলে তার উছিলায় আমাদের আজ এই অন্ধকার গুহা থেকে মুক্তি দিন”। দেখা গেল পাথর আরেকটু সরেছে তাও তাদের বের হওয়ার মত নয়।

তৃতীয় জন হে আল্লাহ, আমার বাড়িতে কাজ করে এক মজুর রাগ করে তার মজুরি না নিয়ে চলে যায়। অনেকদিন পর তার সাথে আমার সাক্ষাৎ। তাকে আমি বল্লাম তুমি এই খেজুরের বাগান, এই উট, এই টাকা পয়সা সব নিয়ে আমাকে মাফ করে দাও। তখন ঐ মজুর আমাকে বলে ঠিক আছে আমার অত কিছুর দরকার নাই, আমার যা প্রাপ্য ছিল তাই দিন, আমি তাকে বলেছিলাম তোমার না নেওয়া মজুরি আমার এই সম্পদে মিশে গেছে এগুলি এখন তোমার, সেদিন ঐ মজুরকে আমি সব দিয়ে দিয়েছিলাম। তোমার হুকুম মজুরের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য দিয়ে দাও”। আমি সেদিন তোমার হুকুম পালন করে ভালো কাজ করে থাকলে তার উছিলায় আজ আমাদের এই অন্ধকার গুহা থেকে মুক্ত করে দাও। দেখা গেল পাথর টুকরা টুকরা হয়ে গড়িয়ে পড়ে। তিন তীর্থযাত্রী মুক্ত হন। এ ঘটনার মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে সব কিছুর উর্ধ্বে মানুষের অধিকার বা তার হক।

ইমাম বোখারি (.) একবার নৌকায় ভ্রমণ করছিলেন। তার সাথে ছিল ১০০০ (এক হাজার) স্বর্ণমুদ্রার একটি থলে। নৌকার এক লোভি যাত্রী ইমাম বোখারির স্বর্ণমুদ্রাগুলি দেখে ফেলেন, ঐ দুষ্টু লোক ফন্দি আঁটেন ইমাম বোখারির সেই স্বর্ণমুদ্রা দখলে নেওয়ার। ইমাম বুখারি ব্যাপারটি বুঝে ফেলেন। এরই মাঝে লোকটি বলে উঠেন আমার এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ছিল তা চুরি হয়ে গেছে। নৌকার সবার মাঝে তল্লাশি চালানো হল, স্বর্ণমুদ্রার কোনও থলে পাওয়া গেল না। লোকটি নিশ্চিত ছিল ইমাম বোখারির কাছে স্বর্ণমুদ্রার থলে আছে, যখন তা পাওয়া গেল না তখন এক সময় লোকটি ইমাম বোখারিকে জিজ্ঞেস করেন “তোমার কাছে তো স্বর্ণমুদ্রা ছিল তা গেল কোথায়?” ইমাম বোখারি(.) অবলীলায় উত্তর দেন আমি তা সাগরে ফেলে দিয়েছি! লোকটি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন এতগুলো স্বর্ণমুদ্রা সাগরে ফেলে দিতে পারলে। উত্তরে ইমাম বোখারি (.) বলেন তুমি আমার সারা জীবনের অর্জিত সততার উপর কালিমা লেপন করতে চেয়েছিলে। সারা জীবন আমি নবী করিম (.) এর হাদিস সংগ্রহ করে বেরিয়েছি, মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে, এই কয়টি স্বর্ণমুদ্রার জন্য তুমি আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তা কী করে হয়? সততা, আস্থা, আর তার নিষ্ঠার উপর যেন কোন প্রশ্ন স্থান না পায় তাই হযরত ইমাম বোখারি (.) সেদিন ঐ স্বর্ণমুদ্রাকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছিলেন।

মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি (.) ভূবনখ্যাত সিদ্ধ কামেল পুরুষ, মসনবী শরীফের জন্যও বিখ্যাত। এই মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি (.)’ কে একদিন প্রশ্ন করা হয়েছিল “বিষ কী?” উত্তরে জালাল উদ্দিন রুমি উত্তর দিয়েছিলেন প্রয়োজনের চেয়ে যা কিছু বেশি তাই বিষ সে হতে পারে অর্থ, বিত্ত, প্রভাব, ক্ষমতা, চাওয়া, লোভ, ক্ষুধা, অহমিকা, আলস্য, প্রেম, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ঘৃণা ইত্যাদি।

আওরঙ্গজেব। জিন্দাপীর আলমগীর। দীর্ঘ ৫০ বছর সমগ্র ভারত বর্ষ শাসন করেন। তার সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রের শাসনকর্তা। আওরঙ্গজেবের মৃত্যূর পর তার ব্যক্তিগত সম্পদ ছিল ৯৩ রুপি আর কিছু হাতে বুনা টুপি।

১৯৬২ সালের কথা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তখন ভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। পণ্ডিত নেহেরু ভারতের প্রধানমন্ত্রী। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী’র পার্টির জরুরি কাজে কাশ্মির যাওয়া নির্ধারিত ছিল। নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও শাস্ত্রী যাচ্ছেন না। নেহেরু কয়েকবার জিজ্ঞেস করেও কোনও উত্তর পাননি। নেহেরু আবারও একদিন জিজ্ঞেস করেন কেন শাস্ত্রী কাশ্মির যাচ্ছেন না? জওহর লাল নেহেরুকে বেদনার আবর্তে ঠেলে দিয়ে, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জানান “শুনেছি এখন কাশ্মিরে প্রচণ্ড শীত নেমেছে, আমার তেমন গরম জামা কাপড় নেই, শীত একটু কমলেই যাব”। নেহেরু তার পরনের কোটটি শাস্ত্রীকে পরিয়ে দেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তখন নেহেরুর দেওয়া সেই কোটটিই তার পরনে ছিল। বলাবাহুল্য ঐ একটি কোট ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী পরেছিলেন।

সপ্তম শতকে কনৌজের সম্‌্রাট ছিলেন ইতিহাস খ্যাত প্রবাদ পুরুষ হর্ষবর্ধন। প্রতি চার বছর অন্তর তিনি প্রয়াগের মেলায় গিয়ে তার সর্বস্ব প্রজাদের মাঝে দান করে দিতেন। যখন তার দান করার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকত না তখন তিনি গঙ্গায় স্নান করে অন্যের কাছ থেকে বস্ত্র ধার নিয়ে স্বীয় বাসস্থানে ফিরতেন। ত্যাগের কী মহিমা!

শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফফার খানকে দিল্লীতে আনার ব্যবস্থা করেন শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধী। বিমান বন্দরে সীমান্ত গান্ধীকে অভ্যর্ত্থনা জানাতে ইন্ধিরা গান্ধী স্বয়ং উপস্থিত হন। সীমান্ত গান্ধী যখন বিমান থেকে অবতরণ করেন তার কাঁধে ছিল চিরাচরিত সেই ব্যাগ। প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী শ্রদ্ধা জানাতে সৌজন্যবশত সীমান্ত গান্ধীর ব্যাগটি নিজ হাতে নিয়ে নেন। সীমান্ত গান্ধী দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে তখন বলে উঠেন “মাগো আমার আর ত কিছু নাই, ব্যাগটি ছিল সেটিও তুমি নিয়ে নিলে”। আত্মত্যাগের স্বমহিমায় উদ্দীপ্ত ছিলেন সীমান্ত গান্ধী। এমনই তার এক জীবন।

এই লেখাটি লিখতে বসার পর থেকে আমাকে কেন জানি এক ধরনের আধ্যাত্মিকতা পেয়ে বসে, তারই জের টানছি আধ্যাত্ম জগতের সাধক পুরুষ উর্দু কাব্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র মির্জা গালিবের একটি হৃদয় ছোঁয়া প্রশ্ন পাঠকদের সামনে তুলে ধরে। গালিব প্রশ্নটি নিজেকেই নিজে করেছেন!

পৃথিবীতে পোশাক বিহীন এসেছিলে হে গালিব

একটি কাফনের কাপড়ের জন্য এত লম্বা সফর

এত কিছু?

লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট; সামরিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলেখক আহমদ ছফা : সত্যিকারের মানবিক মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে