সভাপতি-সম্পাদক হতে চান ৫০০ জন

১৯ জুন ভার্চুয়ালি সম্মেলন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৮ মে, ২০২১ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে সবাই নেতা হতে চান। কেউ কর্মী থাকতে চান না। নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য আগ্রহীদের কাছে থেকে বায়োডাটা সংগ্রহ করতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেয়েছেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। গত ২৩ মে থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে বায়োডাটা সংগ্রহ করা হলে ৫দিনের ব্যবধানে ৫শ’ জন নেতাকর্মী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। যা-অনেকটা অবাক করার মতো ব্যাপার। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য এতো বিপুল সংখ্যক নেতকর্মী বায়োডাটা জমা দেয়ায় দলের শীর্ষ নেতারাও অবাক হয়েছেন। বেশ কয়েকজন নেতা গতকাল আজাদীকে জানান, দল ক্ষমতায় থাকায় ‘সবাই নেতা হতে চান। কেউ কর্মী থাকতে চান না।’ এ ব্যাপারে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজাদীকে জানান, আমরা গত ২৩ মে থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে বায়োডাটা সংগ্রহ শুরু করেছি। গতকাল পর্যন্ত ৫শ’ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। আমরা এগুলো শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেবো। আমরা চেষ্টা করেছি সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে কমিটি হোক। শেষ পর্যন্ত আগামী ১৯ জুন ভার্চুয়ালি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে সাবজেক্ট কমিটির মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে।
আগামী ১৯ জুন নগরীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট হলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ওইদিন সকাল ১০টায় সম্মেলন শুরু হবে। ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়ালি সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন। গতকাল কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রথম দফায় গত ১১ এপ্রিল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে লকডাউনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করে ২৯ মে নির্ধারণ করা হয়। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমায় আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয় লকডাউন। দুই দফা পিছিয়ে গত ২৩ মে বাতিল করা হয় এ সম্মেলন।
উল্ল্লেখ্য, ২০০১ সালে এডভোকেট জিয়া উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হলেও দীর্ঘ ২০ বছর আর কোনো সম্মেলন হয়নি ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনের। ২০ বছর পর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতামিমদের লক্ষ্য ১০ পয়েন্ট
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচদিন পর আবার মৃত্যুশূন্য দিন চট্টগ্রামে