সভাপতির পরিচয় প্রকাশের পর এবার ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি জেনারেলের পরিচয় সামনে এসেছে। এ পদে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের রোববার রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেন। এস এম ফরহাদের নাম রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা অনুষদ ছাত্রলীগ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ফরহাদ বলেন, কবি জসীম উদ্দীন হল এবং সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সাথে আমার (এস এম ফরহাদ) কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের কোনো পদ–পদবির জন্য কোনো সিভি আমি কখনো কাউকে দিইনি। কখনো আমি নিজেকে ছাত্রলীগ হিসেবে কোনো মাধ্যমে পরিচয়ও দিইনি। হল বা ডিপার্টমেন্টের কমিটিতে কাকে রাখা হবে সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে যেখানে আমি তাদের কার্যক্রমের সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে অতীতের সকল আন্দোলন–সংগ্রামে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়ানোর বিষয়টিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিট নষ্ট করার একটি অপচেষ্টা বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের। এমনকি শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার মুখোমুখিও হতে হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও যে সেই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, ধীরে ধীরে তা প্রকাশিত হচ্ছে। ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের নেতাদের সঙ্গে ফরহাদের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়েও বিবৃতিতে জবাব দিয়েছেন তিনি।
ফরহাদ বলেন, হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও ডিপার্টমেন্ট ডিবেটিং ক্লাবের সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালীন ডিবেটের বিভিন্ন আয়োজনে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আমার উপস্থিত থাকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। এগুলোর সবগুলোই ছিলো ডিবেট ক্লাব সংশ্লিষ্ট আয়োজন। কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম নিজের ফেইসবুক পাতায় ছাত্র রাজনীতি নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরে একটি পোস্ট দেন, সেখানে তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন। বিষয়টি তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬–১৭ সেশনের ছাত্র সাদিক ইতোমধ্যে মাস্টার্স শেষ করেছেন, থাকতেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলে।
দুয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।