সব মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় জমজমাট বেচাকেনা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পছন্দের পণ্যটি কেনার জন্য ক্রেতারাও এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে হন্য হয়ে ছুটছেন। অপরদিকে বেচাবিক্রি বাড়ায় বিক্রেতাদের মুখেও ফুটেছে হাসি। বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর আশানুরূপ বেচাবিক্রি হচ্ছে। গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ছোট বড় সব ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় অনেক ব্যবসায়ী নতুন করে বিনিয়োগ করেছেন।
গতকাল সরেজমিনে নগরীর টেরীবাজার, নিউমার্কেট বিপণি বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, বালি আর্কেড, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া। বিক্রাদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। ক্রেতাদের আকর্ষণে বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরণের পোশাক এবং পণ্যের কালেকশন দেখিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে সেই সব পণ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। বিক্রেতার সাথে দরে দামে মিললে টাকা পরিশোধ করে বাড়ির দিকে পা বাড়াচ্ছেন। টেরীবাজারে আসা গৃহিনী রাজিয়া সুলতানা বলেন, বাচ্চার জন্য গেঞ্জি ও পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। গত বছরের চেয়ে জিনিসপত্রের দামও একটু বেশি। দামের বিষয় জানতে চাইলে সাইফুল আলম নামের একজন বিক্রেতা জানান, পোশাকের আমদানি খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে ব্যবসার পরিচালনা ব্যয়। তবে আমরা ক্রেতাদের কাছে আমরা নূন্যতম লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি। নাসিরাবাদ ফিনলে স্কয়ারে আসা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা সুমাইয়া উর্মি বলেন, বান্ধবীর সাথে কসমেটিকস কিনতে এসেছি। দুইদিন আগে ফিনলে থেকেই নিজের জন্য গাউন এবং আম্মুর জন্য সেলোয়ার কামিছ নিয়েছিলাম। গত বছর লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। তাই শপিং করা হয়নি। এ বছর তাই শপিং মিস করতে চাইনি। সেন্ট্রাল প্লাজায় গৃহিণী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ঈদের বাকি আর দুই সপ্তাহও নেই। তাই ড্রেস কিনতে এসেছি।
জানতে চাইলে সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, বর্তমানে মার্কেটে জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। সেন্ট্রাল প্লাজাতে এখন কসমেটিক্স ও জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে বেশি। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ বেচাবিক্রি হচ্ছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে আমরা মার্কেটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি। পুরুষ সিকিউরিটির পাশাপাশি নারী সিকিউরিটিও নিয়োগ দিয়েছি।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। ইফতারের পর থেকে ক্রেতার চাপ বাড়ে। আমাদের জহুর হকার্স মার্কেটে ক্রেতারা আসে মূলত কম দামে ভালো পণ্যটি কেনার জন্য। আমরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি বলেই ঈদের মৌসুমে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে জহুর মার্কেট। আশা করি সামনের দিনগুলোতে বেচাবিক্রির অবস্থা আরও ভালো হবে।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর মার্কেট একটু আগে বাগে জমে উঠেছে বলা যায়। এখন প্রতিদিনই মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথাকছে না দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ
পরবর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে হাতির আক্রমণে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু