ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তিনজনকে আসামি করে পুলিশ যে অভিযোগপত্র দিয়েছেন, তাতে এজাহারের ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামিদের নাম না আসায় আদালতে আপত্তি জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। গতকাল বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তিনি এ বিষয়ে ‘নারাজি’ আবেদন করেন বলে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী জানান। তিনি বলেন, বিচারক হেমায়েত উদ্দিন নথি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। খবর বিডিনিউজের।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেখানে উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলমকে আসামি করা হয়। এরপর মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য হাকিম আদালত থেকে পাঠানো হয় ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। মামলার প্রধান দুই আসামি নাসির ও তুহিন হাকিম আদালত থেকেই এ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। আদালত বদল হওয়ায় বুধবার তারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আবাসন ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ঢাকার পাশের বিরুলিয়ায় তুরাগ তীরে ওই ক্লাবে গত ৮ জুন পরীমনি হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ তোলার পর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন পরীমনি। মামলায় পরীমনির অভিযোগ, ৮ জুন রাতে তাকে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ‘ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা’ করা হয়। নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে সেখানে আসামি করা হয়।