বিপ্লব উদ্যানে বিদ্যমান সবুজের কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম নিউজ পেপার অ্যালায়েন্স’কে (সিএনএ) বলেন, পূর্ব পাশে বর্তমানে যে দোকানগুলো রয়েছে তার দোতলায় মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর হবে। এর সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে অবকাঠামো করা হবে। মাঠে উন্মুক্ত মঞ্চ হবে। ডাম্বেল আকৃতির কাঠামোর মধ্যে কিডস জোন হবে, বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে।
নতুন অবকাঠামো স্থাপন করলে সবুজের পরিমাণ কমে আসবে কিনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, সবুজের ওপর কোনো অবকাঠমো হবে না। তাই সবুজের পরিমাণও কমবে না। বর্তমানে যে দোকানগুলো রয়েছে সেগুলো দেখা না যাওয়ার জন্য পতাকার আদলে অবকাঠামোটি করা হবে। যতটুকু জায়গা বর্তমানে সিমেন্ট দিয়ে আবৃত করা আছে সেখানেই এটা হবে। মাঠের কোথাও নতুন করে অবকাঠামো করা হবে না। বরং বর্তমানে যে চারটি ডাম্বেল আছে তা কমিয়ে দুটো করতে বলেছি।
তিনি বলেন, পুরো কাজ শেষ হলে বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্য বরং বৃদ্ধি পাবে। মানুষ এসে বসতে পারবে। ছোটখাট কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবে। একুশে ফেব্রুয়ারি বা জাতীয় দিবসগুলোতে অনুষ্ঠান করতে পারবে।
তিনি বলেন, পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে বলার সুযোগ নেই। এখন তো কেবল রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চলছে। পতাকার আদলে কাঠামো করে সেগুলো আবৃত করা হবে।
জাতীয় পতাকার আদলে হলেও মাটি বা নিচে স্পর্শ করলে কোনো অবমাননা হবে কিনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, একদম মাটির সঙ্গে হবে তা না। এটা নিচ থেকে দেড় ফুট উঁচুতে হবে। যদি পতাকার অবমাননা হয় প্রয়োজনে সেটা আরো ওপরে করে দেয়া যেতে পারে।
মেয়র বলেন, পুরো শহরে উন্মুক্ত মাঠ এবং শিশুদের খেলাধুলার মাঠের অভাব আছে। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় আমি কাজ করছি। চান্দগাঁওয়ে মাঠ করছি, সেটার কাজ প্রায় শেষ। বাকলিয়ায় করেছি। পাঁচলাইশের চাইল্যাতলীতে করব। সামগ্রিকভাবে চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় বিপ্লব উদ্যানকে আরো বেশি ব্যবহার উপযোগী এবং মানুষ যাতে এখানে এসে শান্তি পায়, স্বস্তি পায় তার জন্য সৌন্দর্যবর্ধন করছি।