সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

আরো ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর, সংকট এড়াতে সঞ্চয়ে জোর

| শুক্রবার , ২২ জুলাই, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই তাঁর দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে যদি খবর থাকে বাংলাদেশের একটি মানুষ ভূমিহীন বা গৃহহীন রয়েছে অবশ্যই আমাদের খবর দেবেন। দল মত নির্বিশেষে যেই গৃহহীন থাকবে আমরা তাদেরকেই ঘর করে দেব, ঠিকানা এবং জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব। তিনি বলেন, দল মতের ভিন্নতা থাকতে পারে তাতে কিছু এসে যায় না। দেশটাতো আমাদের। আর আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমার। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে আরো ২৬ হাজার ২২৯টি ঘরসহ জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে বলেন, দল-মত, আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও মানুষের বড় পরিচয় সে মানুষ এবং সেভাবেই তিনি মানুষকে বিবেচনা করেন। খবর বাসসের।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী করোনার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে আমেরিকার ও ইউরোপীয় দেশগুলোর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করে সবাইকে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হবার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে দেশবাসীর সহযোগিতার প্রত্যাশাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সকলকে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগানোর মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে করোনা আর একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছে, তার ফলে, আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে এবং এ সমস্ত কারণেই আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপীই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এবং উন্নত দেশগুলোতে পর্যন্ত খাদ্যের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে আমেরিকা বলেন, ইংল্যান্ড বলেন সবজায়গাতেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হচ্ছে। পেট্রল ও ডিজেলসহ জ্বালানি সাশ্রয় করার উদ্যোগ উন্নত দেশগুলোও নিয়েছে। স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দাবানলের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগও দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো আমাদের দেশটা ভালভাবে চালাতে পারছি। কিন্তু আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে এবং সকল প্রকার সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। তাই, সবাইকে বলবো বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে, পানি এবং জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে, আপদকালীন সঞ্চয় সবাইকে বাড়াতে হবে। আর কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে সেখানে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। ইনশাল্লাহ, তবেই আমরা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে সমর্থ হবো।

শেখ হাসিনা বলেন, কোনো জমি কেউ ফেলে রাখবেন না, একটা তরকারি গাছ বা মরিচ গাছ হলেও লাগান, কোনো জলাধার কেউ ফেলে রাখবেন না। হাঁস-মুরগী গবাবি পশু প্রতিপালন থেকে শুরু করে সকলকেই যার যেভাবে সম্ভব তাকে সেভাবে উৎপাদনে সম্পৃক্ত হবার আহ্বান জানান তিনি। যেন আমরা নিজেরাই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি এবং খাদ্যের জন্য কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের চার উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের মেয়ে লাঞ্ছিত হয়েছে, শাস্তি হবেই : চবি উপাচার্য