সবার আগে রাব্বি, স্বপ্ন বিশ্বজয়ের

৪৩ সাঁতারুর বাংলা চ্যানেল পাড়ি

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের গভীর বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেলটি একসঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন ৪৩ জন সাঁতারু। এদের মধ্যে ১জন বিদেশি, ২জন নারী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ২জন কর্মকর্তাও ছিলেন।
জানা যায়, ৪৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করেন ১৩ বছরের রাব্বি রহমান। সে ৩ ঘণ্টা- ১৫ মিনিটে সাঁতার কেটে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। এ সময় দ্বীপের বাসিন্দারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৪৩ জন সাঁতারু।
১৫ তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা আয়োজক আরো জানান, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৪৩ জন সাঁতারু। এরপর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সর্বপ্রথম প্রবালদ্বীপে পৌঁছতে সক্ষম হয় ১৩ বছর বয়সী রাব্বি রহমান।
কম বয়সী এই যুবক স্বল্প সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে গৌরবও অর্জন করেন। দ্বিতীয় হয়েছেন সাইফুল ইসলাম রাসেল। দ্বীপে পৌঁছতে তার সময় লেগেছে ৩ ঘন্টা ২১ মিনিট। তৃতীয় হয়েছেন সোজা মোল্লা। এরপর ধাপে ধাপে বিকেল ৫টার পর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে পৌঁছান অন্য সাতারুরা। সর্বশেষ দ্বীপে পৌঁছান ৬৮ বছর বয়সী সাঁতারু ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। এদিকে স্বল্প সময়ে প্রবালদ্বীপে পৌঁছে প্রথম হওয়া কম বয়সী সাঁতারু রাব্বি রহমান বলেন, বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছি আমি। আমার টার্গেট ছিল যে কোনো মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জয়ের স্বাদ নিব। অবশেষে মনের সেই বাসনা আল্লাহপাক পূরণ করেছেন। আগামীতে আরও বড় বড় অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চাই। তার জন্য সরকার ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সহ আয়োজক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও পর্যটন বোর্ড। রেসকিউ পার্টনার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআর মাছ শিকারে যাবেন না ‘বড়শি খালেক’
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬