মেয়েদের বিয়ে নিয়ে কিছু কথা। ছেলেপক্ষ ও কনেপক্ষ উভয় বাড়িতে কত আনন্দ, কত আয়োজন। একটা বিয়ের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। প্রথমে বিয়ের পরে কত সুন্দর আনন্দ হয়। কি জানি আবার হঠাৎ করে বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে যায়। মেয়েদের বাপের ভোগান্তির শেষ নেই। এই সমাজে অনেক বাবারা আছেন, ধার কর্জ করে মেয়ের সুখের জন্য এসব করতে হয়। বিয়ের পরও দেনা পাওনার শেষ নেই। তারপরও কি মেয়েটি সুখে আছে? শ্বশুর বাড়িতে এদিক সেদিক হলে মেয়েদের কত রকম কথা শুনতে হয়। বিশেষ করে শাশুড়ি ও ননদের ভূমিকা এসব ব্যাপারে বেশি থাকে। নারী হয়ে নারীকে নির্যাতন। আরো কত কি। মেয়েটি এতদিন বাবার বাড়িতে কত আদরে বড়ো হয়েছে, তাকে নতুন পরিবেশে মিশতে সময় দিতে হয়। তার একটা আলাদা সময় আছে। সেদিকে কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকদের কোন খেয়াল নেই। ওরা মনে করে পরের মেয়েকে ওদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করার জন্য নিয়ে আসছে। এখনো সমাজে আছে মেয়েরা সম্মানের ভয়ে সব কষ্ট চেপে রেখে তিলে তিলে কষ্ট পাচ্ছে। শিক্ষিত অভিজাত পরিবারের মেয়েরা সম্মান আর লোকলজ্জার ভয়ে নীরবে সবকিছু সয়ে যাচ্ছে। একটা মেয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য সুখী জীবনের অভিনয় করে চালিয়ে যায়। তবুও মেয়েদের বড় আশ্রয় স্বামীর ঘর। সমাজ সংসারে ভয়ে শ্বশুর বাড়ি ত্যাগ করতে পারে না অনেক মেয়ে। সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য ওরা সুখের অভিনয় করে।
আমরা নারীরা আশাবাদী, নারীরা একাল, সেকালের মধ্যে আমরা খুব একটা পার্থক্য খুঁজে পাই না। সৃষ্টির সেরা সৃষ্টির সেরা মানুষকে সত্যিকার মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে হবে। নারীর প্রতি সহানুভূতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।