ফটিকছড়ি সদরের সদা হাসোজ্জ্বল তরুণ ওমর আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী। গত দুদিন ধরে ফেইসবুকে আব্বাসের জন্য দোয়া কামনা করে পোস্ট দিয়েছেন তার বন্ধু–বান্ধব, আত্মীয়–স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এমনকি অপরিচিত ব্যক্তিরাও তার জন্য দোয়া করেছেন। হাসপাতালের বাইরে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে তার জীবন ভিক্ষা চেয়ে কান্না করছিলেন বন্ধু আর স্বজনরা। তবে এত কিছুর পরও আব্বাস কারো ডাকে সাড়া দেননি। আব্বাস আর ফিরেননি। সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বন্ধু সারিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ আরমান।
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাইন্দং তাজুরঘাটা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। আব্বাসের বন্ধু আরমানসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন আব্বাস এবং মিজান মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে আসছিলেন। পথে তাজুরঘাটা এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলের কিছুদূর সামনে আরেকটি মোটরসাইকেল সড়কে চলে আসে। ওই গাড়িটি পেরিয়ে যাওয়ার সময় আব্বাসদের গাড়ির পেছনে ওই গাড়ির ধাক্কা লাগে। এতে আব্বাসের মোটরসাইকেল উল্টে যায়। তিনি ছিটকে পড়েন এবং মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত পান। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সর্বশেষ লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
নিহত আব্বাস ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির বেলাল চৌধুরীর বড় ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি বড় হয়েছেন তার নানাবাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের হযরত মৌলানা আসমত উল্লাহ শাহ (রহ.) প্রকাশ মৌলবী বাড়িতে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।