সবাইকে ভোটে আনার দায়িত্ব সরকারের নয়, ইসির

সংসদে তথ্যমন্ত্রী

| রবিবার , ৯ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

ভোট বর্জনে বিএনপির আগাম ঘোষণার প্রতি ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব সরকার বা সরকারি দলের নয়। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ। সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল সংসদে আনা সাধারণ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

মন্ত্রী বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের পথ চলা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য, সংসদীয় যাত্রা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য কেউ নির্বাচনে আসুক কিংবা না আসুক নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে, নির্বাচন যথাসময়ে হবে।

দশম সংসদ নির্বাচনের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ভোট বানচালের জন্য ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। দুজন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ কয়েকডজন মানুষকে হত্যা করেছিল। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে, সংসদের যাত্রা অব্যাহত থেকেছে। গণতন্ত্রের পথ চলা অব্যাহত রয়েছে। আজকেও সে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ক’দিন আগে বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন, এটি সংসদের পথ চলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যে। সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের বিষয়ে নানা মহল থেকে যে কথাবার্তা হচ্ছে সে বিষয়ে হাছান বলেন, সবাইকে দাওয়াত করে নির্বাচনে আনাএটি সরকারি দলের দায়িত্ব নয়। একটি পক্ষ নির্বাচন কমিশন, সরকারি দলও একটি পক্ষ, সব বিরোধী দলও আরেকটি পক্ষ। সেখানে নির্বাচনে আনা না আনার, নির্বাচনে কেউ আসবে কি আসবে না সে দায়িত্ব পালন করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের দায়িত্ব কীভাবে, সেটি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকে না। তখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজন করবে এবং সব দল অংশ নেবে। কাউকে হাতেপায়ে ধরে, দাওয়াত করে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকারের নয়, সরকারি দলের নয়।

নির্বাচনে না এলে কারও কিছু বলার নেই : তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সহমত প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সব দলকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়। এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আস্থা তৈরি করতে হবে। সে সহায়তা সরকারকে দিতে হবে। সেটাই সরকারের দায়িত্ব। পরিবেশ তৈরির পরও কেউ নির্বাচনে না এলে কারও কিছু বলার নেই।

সংসদের মান ক্রমাগত ক্ষুণ্ন হচ্ছে : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা এমন একটি সংসদ তৈরি করব যা অন্যের জন্য শিক্ষার বিষয় হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখছি, আমাদের পার্লামেন্টের মান ক্রমাগতভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিএনপি পাকিস্তানের প্রক্সি প্লেয়ার : জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি পঁচাত্তরের পর যেসব অপরাধ করেছে, এখনও তার পক্ষে সাফাই গাইছে। বিএনপি আসলে মুখে বাংলাদেশ অন্তরে পাকিস্তান জপ করছে। বিএনপি আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে পাকিস্তানের প্রক্সি প্লেয়ার। বিএনপি সংবিধান খেয়ে ফেলতে চায়। রাজাকারদের রাজনীতির মধ্যে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা সাংবিধানিক ধারা বানচাল করতে চায়। অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

বিএনপি থাকার দরকার নেই : সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ জানান, বিএনপি না থাকুক, এটাই তিনি কামনা করেন।

বিএনপি যা বোঝায়, তা নয় : বাক্‌স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কথাটা আপেক্ষিকরাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড লাস্কির এমন উদ্ধৃতি দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, এই কথার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বাক্‌স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে বিএনপি যা বোঝায়, তা কিন্তু নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থাকছেন ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
পরবর্তী নিবন্ধ‘জঙ্গি ছিনতাইয়ে যোগাযোগকারী ছিলেন পলাতক সোহেলের স্ত্রী শিখা’