নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে নিজেকে। তাৎপর্যহীন জীবনকে যাঁরা তাৎপর্যপূর্ণ করতে পারেন – তাঁরাই একদিন ইতিহাস হয়ে থাকেন এই পৃথিবীতে। বঙ্গবন্ধু, সত্যেন সেন, রনেশ দাশগুপ্ত, অনিল মুখার্জি, সরদার ফজলুল করিম – এরা সবাই জেলে বসে ভালো কাজ করেছেন। আর কতশত জন পড়াশোনা, গবেষণা, লেখালেখি করেছেন। আঘাতে তাঁরা নুয়ে পড়লেও কখনো পরাস্ত হননি। আমাদের পড়াশোনার কোনো ট্র্যাডিশন নেই। ভেঙে পড়ি। অন্যকে দোষারোপ করি। পৃথিবীর কোনো কিছুই অনিবার্য নয়। যদিও জীবন একেক মানুষের গন্তব্য একেক পথে নির্ধারণ করে। কারো সঙ্গে কারো মিল থাকে না। কারো সঙ্গে কারো অবস্থা, পরিস্থিতি মিলে না। সবাইকে নিজের মতো করে নিজের পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। কখনো কখনো মানুষ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় যে নিজের নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। কখনো কখনো কষ্টের মধ্যে ও ভাগ্যকে সহজভাবে গ্রহণ করে নিতে হয়। স্পিনোজা তাঁর নীতিশাস্ত্রে বলেছেন,‘স্পষ্ট এবং সঠিক ধারণা তৈরি হলে আমাদের কষ্টগুলো, ভোগান্তিগুলো আর তেমন যন্ত্রণা দেয় না।’ অর্থাৎ আবেগ আমাদের কষ্ট দিচ্ছে, তা যদি ঠিক মতো বুঝতে পারি, অনুধাবন করতে পারি, তখন কষ্টের মাত্রা অনেক কমে যায় বা কখনো কষ্ট একেবারেই থাকে না।