সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ সেরাম ইনস্টিটিউট সিইওর

| মঙ্গলবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বে টিকা উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়ার কাছে যেসব দেশ ও সরকার করোনাভাইরাসের টিকা চাইছে, তাদের সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও আদর পূনাওয়ালা। খবর বিডিনিউজের।
রোববার এক টুইটে তিনি বলেছেন, টিকা রপ্তানি করার ক্ষেত্রে ভারতের নিজস্ব চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ‘নির্দেশনা’ রয়েছে। ফলে অন্য দেশে রপ্তানি হয়ত বিলম্বিত হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, কার তরফ থেকে সেরাম ইনস্টিটিউট ওই নির্দেশনা পেয়েছে, সিইও তা বলেননি। এ প্রশ্নে তার কোম্পানির কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি। প্রতিবছর বিশ্বে যে পরিমাণ টিকা উৎপাদন হয়, তার তিন-পঞ্চমাংশ সরবরাহ করে ভারত। আর ১৩০ কোটি মানুষের দেশে ভারতেই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কার্যক্রমটি চলছে। এমনিতে বছরে গড়ে ৩৯ কোটি মানুষকে হাম ও যক্ষ্মার টিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভারতের আছে। কিন্তু বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। মধ্য জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর এখন পর্যন্ত সেখানে মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশকেও টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ভারতে ইতোমধ্যে ১ কোটি ৯ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের দিক দিয়ে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ভারতের অবস্থান। দেশটির ওষুধ খাতের নিয়ন্ত্রণক সংস্থা এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের দুটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ভারতে উৎপাদন এবং কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া। আর ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক তাদের টিকা বাজারজাত করছে কোভ্যাঙিন নামে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেক্সিকোতে সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৬
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে ধর্মঘটে অভ্যুত্থানবিরোধীরা