সঙ্গীতশিল্পী শান্তা দাশ আজাদীকে বলেন, সঙ্গীত ও সুর নির্দিষ্ট কোনো দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাই গানের এই ভাষাকে সর্বজনীন ভাষাও বলা হয়। গান সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষমতা রাখে। সুরে ফুটে ওঠে আবেগ, দুঃখ আর সুখের বন্যা। তাই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে মনের অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে ভালোবাসুন গানকে। তবে অনেকেই মনে করেন শুধু একদিন নয়, জীবনের প্রতিটি দিনই হওয়া উচিত সঙ্গীতমুখর।
তিনি জানান, বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে সর্বপ্রথম বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালন শুরু হয়। বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কনসার্ট ও গাননির্ভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে চট্টগ্রামে দিবসটি এখনো সেভাবে উদযাপন করা হয় না।
শান্তা দাশ বলেন, সঙ্গীতের কোনো ধর্ম নেই, জাত নেই। তার নিজস্বতা আর স্বকীয়তা এতটাই প্রবল যে, সেটা কোনো বিশেষ ভাষার কাছেও সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে না। আমাদের জারি, সারি, বাউলগান, রবীন্দ্র বা নজরুলগীতির মতো সমৃদ্ধ সঙ্গীতের আকর বাংলা সঙ্গীতকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। আধুনিক গানের ব্যাপক চর্চা সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গীতে আমাদের যে ঐতিহ্য সেই ধারাকে লালন করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা মেধাবী। তারা নিজস্ব স্টাইলে কাজ করছেন, পরিশ্রম করছেন। জনপ্রিয়তাও পাচ্ছেন। এই সময়ে ফোক গান তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজ বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে বলতে চাই, সংগীতের হাত ধরে মেলবন্ধন ঘটুক মনের। বৈচিত্র্যময় সুরের ধারায় সঙ্গীত এগিয়ে চলুক বিশ্বচরাচরে। আর প্রাণে আসুক শান্তি।