যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তাসনীম হাসান বলেন, এই সমাবর্তন আমার জীবনের এক অসাধারণ উপলক্ষ–যা এসেছে শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার দীর্ঘ ১১ বছর পর। সময় পেরিয়েছে, দায়িত্ব এসেছে, পথ বদলেছে, কিন্তু শিক্ষার শিকড়– প্রিয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমার ভেতরে গেঁথে আছে সবসময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো ছয়টি বছর শুধু একাডেমিক নয়, জীবনের গভীর পাঠ ছিল। আমি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলাম– সেখানে সত্য, ন্যায় ও দায়বদ্ধতার যে চর্চা করেছি, তা আজও পথ দেখায়। সেজন্য এই সমাবর্তন আমার কাছে কেবল একটি ডিগ্রি অর্জনের আনুষ্ঠানিকতা নয়–এটি যেন আমার একজীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়ের সিলমোহর।
এই গর্বের দিনে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। কেননা তিনি তো আমাদেরই একজন। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক। এই জোবরা থেকেই তো শুরু হয়েছিল তাঁর বৈশ্বিক পরিবর্তনের অংশ হওয়ার দীর্ঘ সফর। প্রশাসনিক দুর্বলতায় অনেক বছর পর পর এক একটা সমাবর্তন আসে শিক্ষার্থীদের জীবনে। সমাবর্তনের এই দেরি অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হলেও আমার কাছে এটি প্রতীক্ষার সৌন্দর্য। কৃতজ্ঞতা জানাই শিক্ষক, সহপাঠী ও পরিবারকে–যাঁরা আমার এই যাত্রার অংশ ছিলেন। আজকের এই দিন যেন আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখায়। সমাজের জন্য আরও ভালো কিছু করার তাড়না বাড়ায়। নিজের কাছে নিজের এইটুকুই চাওয়া।